ইতিহাসের পাতা থেকে ১০ অক্টোবর : ১৯১০ সালে প্রথম অখিল ভারতীয় হিন্দি সম্মেলনের আয়োজন

১৯১০ সালে বারাণসীতে প্রথম অখিল ভারতীয় হিন্দি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন মদন মোহন মালवीয়। এই সম্মেলন ছিল হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সে সময় হিন্দি ভাষা ও শিক্ষার প্রসারে বিশেষ প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল।

সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—

  • হিন্দিকে সর্বভারতীয় স্বীকৃতি দেওয়া
  • সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা
  • এবং হিন্দি ভাষার মাধ্যমে জাতীয় চেতনা জাগ্রত করা।

এই সম্মেলনে দেশজুড়ে লেখক, পণ্ডিত ও ভাষাপ্রেমীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁরা হিন্দির শৈলী, ব্যাকরণ ও সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন। এই সম্মেলন হিন্দি ভাষা প্রচার ও সংরক্ষণে এক নতুন দিকনির্দেশনা দেয় এবং ভাষাপ্রেমীদের মধ্যে ঐক্য ও সংগঠনের চেতনা গড়ে তোলে। হিন্দি সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এটি এক মাইলফলক রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।


নাগরী প্রচারিণী সভার অবদান

হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলা প্রতিষ্ঠান অখিল ভারতীয় হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন (প্রয়াগ)—এর বীজ রোপণের কৃতিত্ব কাশীর নাগরী প্রচারিণী সভা-রই।

অনেকেই জানেন না যে হিন্দির পরম সেবক মহামনা মদন মোহন মালব্য-এর মনে “হিন্দিকে ভারতমাতার কপালের টিপ” বানানোর ভাবনা জন্ম নিয়েছিল এই সভার প্রচেষ্টাতেই।

১৯১০ সালে মালব্যজির সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রথম হিন্দি সম্মেলনের সভাপতির ভাষণে তিনি নিজেই বলেন, এই আয়োজনের ভাবনা নাগরী প্রচারিণী সভার বাগানে গভীর চিন্তা-ভাবনার ফল

এই সম্মেলনের পেছনে যে যুক্তি, বিতর্ক, আলোচনা ও ভাবনাচিন্তা ছিল—তা আজও সভার পুরনো দলিলপত্র, বার্ষিক প্রতিবেদন ও সভার সাধারণ অধিবেশনে লিপিবদ্ধ আছে।


প্রয়াগে স্বতন্ত্র অফিস, রাজর্ষি টণ্ডনের অবদান

পরবর্তীকালে প্রয়াগে সাহিত্য সম্মেলনের স্বতন্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠা হয় এবং রাজর্ষি পুরুষোত্তম দাস টণ্ডন-এর মতো দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে এই প্রতিষ্ঠান গৌরবের শিখরে পৌঁছে যায়।

মহাত্মা গান্ধী-র আশীর্বাদ পেয়ে হিন্দি জগতে এটি ব্যাপক মর্যাদা অর্জন করে। তবে এই গর্বিত বৃক্ষের মূল যে নাগরী প্রচারিণী সভার প্রাঙ্গণে, তার গন্ধ কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না।


কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সংগ্রহশালার (ভারত কলা ভবন) সঙ্গে সম্পর্ক

কাশীর গর্ব কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU)-এর জাতীয় সংগ্রহশালা ভারত কলা ভবননাগরী প্রচারিণী সভা-র কাছে চিরঋণী।

২২ বছর ধরে এই সংগ্রহশালার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সভা পালন করে এক সজাগ অভিভাবকের মতো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠিত ভারত কলা পরিষদের এই অমূল্য সংগ্রহ ১৯৮৬ বঙ্গাব্দে প্রথমবার নাগরী সভার তত্ত্বাবধানে আসে এবং ২০০৭ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত রক্ষা ও সমৃদ্ধ হয়।


প্রেমচন্দ স্মারক ও মুদ্রণালয়ের সূচনা

২০০৬ বঙ্গাব্দে অসাধারণ কথাসাহিত্যিক মুন্সি প্রেমচন্দ-এর স্মরণে নাগরী প্রচারিণী সভা একটি স্মারক গড়ে তোলে এবং একটি নিজস্ব মুদ্রণালয়ের সূচনা করে।

মুন্সিজির ভাই মহতাব রায় এর ব্যবস্থাপক হন ও লমহি গ্রামে প্রেমচন্দ স্মারক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি নিজস্ব পৈতৃক সম্পত্তির একটি অংশ দান করেন। এখানে প্রেমচন্দের সাদা মার্বেলের মূর্তি বসানো হয়।

স্মারকের শিলান্যাস করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ


১০ অক্টোবর – অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি:

  • ১৭৫৬ – ব্রিটিশ গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ পুনরায় কলকাতা পুনর্দখলের জন্য মাদ্রাজ থেকে রওনা হন।
  • ১৮৪৬ – ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম লাসেল নেপচুনের উপগ্রহ আবিষ্কার করেন।
  • ১৮৬৮ – কিউবা স্পেনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।
  • ১৯১০ – বারাণসীতে প্রথম হিন্দি সম্মেলন।
  • ১৯৭০ – ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে।
  • ১৯৭৮ – রোহিণী খাদিলকর প্রথম মহিলা হিসেবে জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হন।
  • ১৯৯১ – ভারত বিশ্ব ক্যারম চ্যাম্পিয়নশিপে দলগত খেতাব জেতে।
  • ১৯৯২ – দ্বিতীয় হুগলি সেতু (বিদ্যাসাগর সেতু) খুলে দেওয়া হয়।
  • ২০০৫ – অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হন।
  • ২০১৪ – ভারতীয় কैलাশ সত্যার্থী-কে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হয়।

জন্ম:

  • ১৮৯৯ – শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, ভারতের অন্যতম প্রাথমিক কমিউনিস্ট নেতা।
  • ১৯০৬ – আর. কে. নারায়ণ, খ্যাতনামা ভারতীয় সাহিত্যিক।
  • ১৯১২ – ড. রামবিলास শর্মা, বিশিষ্ট হিন্দি সমালোচক।
  • ১৯৫৪ – রেখা, প্রখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী।
  • ১৯৯৫ – সুতীর্থা মুখার্জি, ভারতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড়।

মৃত্যু:

  • ২০১১ – জগজিৎ সিং, গজলের সম্রাট।
  • ২০২২ – মুলায়ম সিং যাদব, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ।

বিশেষ দিবস:

  • 🌍 বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
  • 📬 জাতীয় ডাক ও তার দিবস
  • ⚖️ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস (সপ্তাহ)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − eleven =