অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে তোড়জোড়ের অন্ত নেই। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগেই অযোধ্যার ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ সম্প্রসারণের প্রথম পর্যাযের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই কাজ এগোচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশের একাধিক বড় শহরের সঙ্গে বিমানপথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে অযোধ্যার। সেই শহরগুলির মধ্যে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো রয়েছে বাংলার রাজধানী কলকাতাও।
২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা বিমানবন্দরও উদ্বোধন করবেন তিনি। এর পর আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সম্পূর্ণ পরিষেবা। ওই দিন থেকে অযোধ্যার সঙ্গে জুড়ে যাবে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, গোয়া। সূত্রের খবর, মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৩৭, এয়ারবাস ৩১৯ এবং এয়ারবাস ৩২০ ওঠা-নামার মতো রানওয়ে এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই নির্মীয়মাণ বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভিকে সিং। উত্তরপ্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, নতুন ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে উঠছে এই বিমানবন্দর। যেখানে থাকছে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের যাবতীয় ব্যবস্থা।
অযোধ্যায় ১৭৮ একর বিস্তৃত একটি সাধারণ বিমানঘাঁটি ছিল। এখন সেটিই দেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে উঠছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ৮২১ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠছে ৬৫ হাজার স্কোয়ার ফুটের টার্মিনাল, ঘণ্টায় ২-৩টি উড়ান ওঠানামা করবে এখন, ২ হাজার ২০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে নির্মাণ চলছে। পরে তা সম্প্রসারণ হবে ৩ হাজার ৭০০ মিটার পর্যন্ত।