কলকাতা: অভাব-অভিযোগের কথা জানানো যাবে সরাসরি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর একসময় ‘দিদিকে বলো’ চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমজনতার যাবতীয় অভিযোগ, বিশেষত সরকারি কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ কিংবা শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি জানানোর রাস্তা খুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। জনপ্রিয় হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’। ১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই প্রকল্প কার্যত মাস্টারস্ট্রোক ছিল। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল।
এবার ‘দিদিকে বলো’-র দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর পালা। সূত্রের খবর, আগামী ৫ মে থেকে শুরু হতে পারে ‘দিদিকে বলো ২’। ফের নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে জানাতে পারবেন আমজনতা।
শনিবার ভবানীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেখানেই নয়া কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটানে তৃণমূলের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে আগামী ৩ মে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। আপাতত বছর দেড়েকের জন্য এখান থেকেই চলবে কাজকর্ম। দিনক্ষণ দেখে সে বাড়ির পুজোর দায়িত্ব ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। পুরনো তৃণমূল ভবনের পুজোর দায়িত্বও ছিল তাঁর হাতে। গৃহপ্রবেশের সমস্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। জানা যাচ্ছে, ৩ মে এই ভবনে গৃহপ্রবেশের পর নতুন কর্মসূচি অর্থাৎ ‘দিদিকে বলো ২’ শুরু হবে। তার দিনক্ষণ প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে ৫ মে।
প্রসঙ্গত, মার্চের শেষদিকে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এই প্রকল্পটি নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ‘আগামী দু’মাস সময় নেব। তারপর যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি, খুনখারাপির অভিযোগ থাকে, তাহলে আমি আর একটা সেট আপ তৈরি করব যেমনটা আমি করেছিলাম ‘দিদিকে বলো’তে। নতুন নামটা আমি এখন বলছি না। আমরা ঠিক করে আপনাদের জানাব।’ জানিয়েছিলেন, নাম-পরিচয় গোপন রেখেও কেউ নিজের এলাকায় কোনও অন্যায় দেখলে নালিশ জানাতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া হবে।