সুস্মিতা মণ্ডল
বিমানবন্দর তা সে যেখানেই হোক না কেন, চা-এর দাম অন্তত ১০০, কফি হলে তার ওপর। মোমো থেকে বার্গার যেটাই খেতে যাবেন দাম বিমানবন্দরের ভেতরে প্রায় দ্বিগুণ।তাই কাজের সূত্রেই হোক বা বেড়ানোর জন্য বিমানবন্দরের ভেতর ক্ষিদে পেলে অনেক সময়ই দাম শুনে খেতে ইচ্ছে করে না।
কিন্তু জানেন কি, যে কোনও বড় বিমানবন্দরে কার্যত ফ্রিতে পেটপুরে খাওয়া যায়? চোখ কপালে উঠল নাকি! নাকি জানেন অথচ নিয়মটা ঠিক জানা নেই?
তাহলে বরং জেনে নিন।
কলকাতা বিমানবন্দরের ট্রাভেল ক্লাব লাউঞ্জে আপনি সারতে পারেন ডিনার, লাঞ্চ কিম্বা ব্রেকফাস্ট। এর কোনও একটা আপনিও করতে পারেন। এর জন্য দরকার হবে বিশেষ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড। আর সঙ্গে লাগবে আপনার বোর্ডিং পাশ। কোন ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডে সেই সুবিধে মিলবে সেটা কিন্তু জানতে হবে আপনার ব্যাঙ্ক থেকে। কম, বেশি একাধিক ব্যাঙ্কই এ ধরনের সুবিধে দিয়ে থাকে। তবে একটা ক্রেডিট কার্ডে একজনই পরিষেবা পাবেন। আবার যাওয়ার সময় যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলেন, সেটাই ৪ দিনের মাথায় ফেরার সময় ব্যবহার করলে কিন্তু হবে না। আসলে এক একটা কার্ডে এক একরকমের শর্ত থাকে।
কীভাবে ব্যবহার?
লাউঞ্জ খোলা থাকলে সেখানে গিয়ে প্রথমে আপনাকে আপনার বিমানে চড়ার বোর্ডিং পাশ দেখাতে হবে। তারপর ক্রেডিট কার্ড মেশিনে সোয়াইপ করা হবে। প্রথমে ১ টাকা কাটবে। পরে আবার সেটা রিটার্নও পাবেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্ডে নিয়ম আলাদা বা টাকার অঙ্ক সামান্য কম-বেশি হতে পারে।
লাউঞ্জ ফেসিলিটি-
কলকাতা বিমানবন্দরের ট্র্যাভেল লাউঞ্জে ঢুকলেই আরামদায়র সোফায় গা এলিয়ে বসে চার্জিং পয়েন্টে মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে নিতে পারেন।চাইলে কেউ এখানে বসে ল্যাপটপে জরুরি কাজও সারতে পারেন।
খাবার-
খাবার এখানে বুফে সিস্টেম। থাকে এলাহি ব্যবস্থা। চা-কফি, জুস, স্যান্ডউইচ, স্যুপ, ডিম, থেকে শুরু করে কেক, পেস্ট্রি, চিকেন স্টু, দুধ, কর্নফ্লেক্স, অমলেট-সহ অংসখ্য খাবার মেনুতে আছে। যত ইচ্ছে খেতে পারেন। এক্সট্রা কোনও চার্জ নেই। মানে ভূরিভোজ কার্যত বিনামূল্যেই। তাই প্লেনে কোথাও যাওয়ার আগে জেনে নিন আপনার ব্যাঙ্কিং কার্ডে এই সুবিধে মিলবে কি। বছর হয়তো ৩-৪ বার আপনি এই পরিষেবা পাবেন একটি কার্ডে।