সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ হরিদেবপুরে। সূত্রে খবর, ফেসবুক গ্রুপে আলাপের পর মাদক সেবনের জন্য আহ্বান করা হয় বলে অভিযোগ। আর তা করতে এসেই ফাঁদে পড়েন এক যুবক। পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকদের ফাঁদে পড়া যুবকের নাম অরিত্র দাস। তিনি বেহালা শখেরবাজারের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অরিত্র দাসের সঙ্গে একটি গ্রুপের পরিচয় হয়। দুদিন আগে অরিত্র দাসকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে মেসেজ করা হয়, মাদক সেবনের বিষয়ে। এবং অরিত্র রাজি হওয়ায় হরিদেবপুর জোড়া পুকুর এলাকায় রাতে এক যুবতীর সঙ্গে বাইক নিয়ে দেখা করতে আসে। অভিযোগ সেই সময় একটি স্করপিও গাড়ি করে পাঁচজন যুবক আসে এবং যারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। সেখানে কোনও মেয়ে ছিল না বলেও জানায় অরিত্র।
যুবকের অভিযোগ তাকে নানা ভাবে ভয় দেখায় পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা। এরপর অভিযোগকারী যুবককে গাড়িতে তুলে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। সঙ্গে হুমকি দেওয়া হয় এক লক্ষ টাকা দেওয়ারও। আর এই টাকা না দিলেগাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চাওয়া হয়। এরপর ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আরও ২০ হাজার টাকা দিলে অরিত্রর বাইক ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
প্রতারকদের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক। অভিযোগ দায়েরের বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে একজন যুবককে নাকতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই গ্রুপটি অনেক যুবককে নেশা করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে।
