কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলে, আন্তোইনে গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরৌ। ফরাসি আক্রমণে তারকা নাম যেন শেষই হতে চায় না। সঙ্গে মিডফিল্ড তো রয়েইছে। এত এত গোলের সুযোগ। মুড়ি-মুড়কির মতো মিস করে গেলেন এমবাপে, গ্রিজম্যান, দেম্বেলে, থুরামরা। এরপরও ফ্রান্স জিতল। কোনও গোল না করেই। কীভাবে সম্ভব! উবারে করে। ফ্রান্সের জয়ে গোল করলেন উবার। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে এমবাপের একটি ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান অস্ট্রিয়ার সেন্টারব্যাক ম্যাক্সিমিলিয়ান উবার। শেষ অবধি এটিই ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। উবারের আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করল কাতার বিশ্বকাপের রানার্স।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে দেম্বেলে, ব়্যাবিয়টদের তুলে নেওয়া হয়। নামানো হয় কোলো মুয়ানির মতো সতেজ পা। তাতেও শুধু সুযোগই তৈরি হল। স্কোর লাইনে কোনও বদল হল না। বরং ম্যাচের ইনজুরি টাইমে যে ভাবে অস্ট্রিয়া কাউন্টার অ্যাটাক করে, তাতে ২ পয়েন্ট হাতছাড়া হতে পারত ফ্রান্সের। প্লেয়ার এবং ফ্রান্সের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা দিদিয়ের দেশঁর মুখে হাসি ফুটল না। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। জয় দিয়ে শুরু করাটা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে আক্রমণ ভাগে একঝাঁক তারকা থাকার পরও এত গোলের সুযোগ মিস, দেশঁকে চিন্তায় রাখতে ব্যর্থ।
কখনও বাঁ দিক দিয়ে, কখনও ডানদিক। দুর্দান্ত গতিতে প্রতিপক্ষ বক্সে উঠলেন এমবাপে। সুইচ করেন ডেম্বেলের সঙ্গে। এর ফলেই প্রথম গোলটা আসে। যদিও সেটা আত্মঘাতী। তাতে স্বস্তির জায়গা নেই। অস্ট্রিয়া ছন্দে থাকলেও ফ্রান্স কাগজে কলমে অনেক অনেক এগিয়ে থাকা দল। তাদের যদি আত্মঘাতী গোলে জিততে হয়, অস্বস্তি হওয়ারই কথা। ফ্রান্সের চিন্তা বাড়াল এমবাপের চোটও। ম্যাচের শেষ দিকে হেড করতে জাম্প করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। অস্ট্রিয়া ডিফেন্ডার কেভিন ডানসোর সঙ্গে ধাক্কায় নাকে গুরুতর চোট লাগে এমবাপের। রক্তও বেরোয়। যার ফলে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়।