কলেজের স্টাফ রুমের আলমারির ভেতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার

কলেজের স্টাফ রুমের আলমারির ভেতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হল। প্রিন্সিপাল অভিযোগ দায়ের করলেন থানায়। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠল। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার নহাটা যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের স্টাফ রুমের আলমারি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজে। এই বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর অর্ণব ঘোষ কলেজের অ্যাকাউটেন্ট রণপতি রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করে গোপালনগর থানায়। প্রিন্সিপালের দাবি, রণপতি রায় আমাদের কলেজের একজন অ্যাকাউটেন্ট ছিলেন তার আলমারি থেকেই আমরা এই আগ্নেয়াস্ত্র গুলি পেয়েছি। আমার সন্দেহ এই জিনিসগুলি রণপতি রায়ের। বিগত দিনে ওনার সঙ্গে আমার কিছু ঝামেলা হয়েছিল। তখন উনি আমার উপরে আক্রমণ করেছিলেন। তারপর থেকেই উনি জেল থেকে বেরিয়ে আর কলেজে আসেননি। আমরা কলেজ থেকে রণপতি রায়কে সাসপেন্ড করেছিলাম। এদিন আমাদের কলেজের স্টাফরা বিভিন্ন লকার খুলে কাগজপত্র বের করার সময়ই দেখা যায় কার্তুজ এবং আগ্নেয়স্ত্র। তারপরেই আমরা পুলিশকে খবর দিই। এই বিষয়ে চৌবেরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন হাজরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে এরকম ধরনের জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা অথবা রেখে দেওয়া এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র কার্তুজ পাওয়াটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি অবমাননা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে রণপতি রায়ের পরিবার। তাদের দাবি, প্রিন্সিপাল ইচ্ছাকৃত ফাঁসিয়েছে। আরো অভিযোগ রণপতি রায় তিনি কলেজে হিসাব রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি প্রিন্সিপাল সহ কলেজ কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু আর্থিক দুর্নীতি ধরে ফেলেন এবং পরবর্তীতে চিঠি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিককে। তার ফলেই তাকে এমন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে এমনটাই অভিযোগ। রণপতি রায়ের আরো অভিযোগ, এর আগে কলেজে চুরি ডাকাতি হয় প্রত্যেকটি লকার ভাঙা হয়, তবে সেই সময় কেন আগ্নেয়াস্ত্রটি বেরোয়নি, এখন কেন বেরোচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তিনি যখন জেলে যান সেই সময় তার লকারের চাবি প্রিন্সিপালের কাছেই দিয়ে যান, তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 2 =