নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: ফের লজ্জা! এক আদিবাসী নাবালিকা জঙ্গলে কাঠ কুড়তে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ। শুক্রবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কাঁকসা থানার পুলিশকে। এই ঘটনায় এক নাবালক সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁকসার মলানদীঘি এলাকার জঙ্গলে কাঠ কুড়তে যায় তার মেয়ে বান্ধবীর সঙ্গে। জঙ্গল থেকে ফেরার সময় এক নাবালক ও ৩ যুবক তাকে তুলে নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে যায়। তার মেয়ের বান্ধবী কোনও মতে ছুটে পালিয়ে গিয়ে তাকে খবর দিলে তিনি ছুটে গিয়ে জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে মেয়েকে জঙ্গল থেকে অচৈতন্য ও নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপরেই রাতে কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। তঁর অভিযোগ, অপরাধীরা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কাঁকসা থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে শুক্রবার তিন যুবককে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে মহকুমা আদালতের বিচারক তাদের ৩ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ধৃত নাবালককে আসানসোল কোর্টে পেশ করা হলে, বিচারক তাকে হোমে পাঠিয়ে দেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জানান, অপরাধীরা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন সেই দল যাতে তাদের বাঁচাতে না আসে তিনি এটাই চান।
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঘটনাটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। নির্যাতিতার ও তার পরিবারের পাশে তাঁরা থাকবেন। তবে নির্যাতিতার পিতা যে অভিযোগ তুলেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ ওই গ্রামে বামেদের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। যারা অপরাধী তারা কেউ দলের কোনও পদে নেই। পুরোপুরি বাম ও রাম মিলে তৃণমূলের নামে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। আইন আইনের মতো চলবে। দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে।