হিমাচলে পর্বতাভিযানে গিয়ে নিখোঁজ কলকাতার চার জন, শুরু উদ্ধারকাজ

কলকাতা: হিমাচল প্রদেশে পর্বতারোহণে গিয়ে নিখোঁজ কলকাতার চার বাসিন্দা।কুলুর মাউন্ট আলি রত্নি টিব্বা শৃঙ্গ জয় করতে বেরিয়েছিলেন পর্বতারোহীদের ওই দলটি।জানা গিয়েছে, বুধবারই শৃঙ্গ জয় করে বেস ক্যাম্পে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। সেখানে তাঁদের জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন শেরপা। তাঁরা না ফেরায় তিনি নীচে নেমে এসে প্রশাসনকে জানান। শুক্রবার ওই পর্বতারোহীদের খোঁজে একটি উদ্ধারকারী দল রওনা হয়েছে আলি রত্নি টিব্বায়।

নিখোঁজ পর্বতারোহীদের নাম অভিজিৎ বণিক (৪৩) চিন্ময় মণ্ডল (৪৩) দিবস দাস (৩৭) এবং বিনয় দাস (৩১)। তাঁদের প্রত্যেকরই পর্বতারোহণের যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও রয়েছে।তাঁরা আলি রত্নি টিব্বায় গিয়েছিলেন হাওড়ার একটি দলের সঙ্গে। মালানা গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল তাঁদের যাত্রা। বুধবারের আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘অ্যাডভান্সড’ বেস ক্যাম্পে। সেখান থেকে তাঁরা মূল শৃঙ্গের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না এলে দলটির জন্য অপেক্ষারত শেরপা ঘটনাটি জানান স্থানীয় প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, বুধবারই শৃঙ্গ জয় করে বেস ক্যাম্পে ফেরার কথা ছিল এঁদের। সেখানে তাঁদের জন্য খাবার তৈরি করে অপেক্ষা করছিলেন ওই দলটির সঙ্গে থাকা শেরপা। চার জন না ফেরায় তিনি এবং ওই দলের সঙ্গে থাকা আরও দুই সদস্য নীচে নেমে আসেন পর্বতারোহীদের খবর জানাতে। প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও সেখানকার কষ্টকর আবহাওয়ায় উপযুক্ত আশ্রয় ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন বলে জানা গিয়েছে।

৫৪৭০ মিটার উঁচু মানালির ওই শৃঙ্গটি উত্তর মালানায় স্পিতির দিকে রয়েছে। শৃঙ্গটি দুর্গম বলেই পরিচিত। শৃঙ্গে পৌঁছতে পাথুরে ও খাড়াই পথ পার হতে হয়। চার পাশে হিমবাহ থাকায় বেশ ঝুঁকিপূর্ণও। তাই পর্বতারোহীদের মতে, এই শৃঙ্গ জয় করতে গেলে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর ও পেশাদার প্রশিক্ষণ নির্ভর হতে হয়। ফলে বিপদের সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।ছাপে রাম নেগি নামে এক  উদ্ধারকারীর পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি মুহূর্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। ড্রোন দিয়ে বা হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজাখুঁজি এক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।কারণ, শৃঙ্গের ওপরের দিকের অংশ ভীষণ দুর্গম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 6 =