দলের ছাব্বিশতম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে হাওড়া সদরে নজরে এল না সেই অতীতের ভিড়। আর সেই কারণেই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে জমায়েতের এমন চেহারা দেখে প্রশ্ন উঠে গেল দলের মধ্যে। জল্পনা ছড়ায় দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে কি না তা নিয়েও। পাশাপাশি উঠে আসে আরও নানা প্রসঙ্গ। কারণ, এই বছর দলীয় বিধায়ক ও নেতৃত্বের হাজিরার সংখ্যা ছিল অতীতের তুলনাতে কম। এরই মধ্যে রবিবার পয়লা জানুয়ারিতে হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পালিত হল ছাব্বিশ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। হাওড়া সদরের এই অনুষ্ঠানটি মূলত সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বেই এদিনের এই অনুষ্ঠান পালিত হয় হাওড়া সদরে।
এদিকে রবিবারের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মন্ত্রী ঘনিষ্ট পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক, সাঁকরাইলের বিধায়িকা প্রিয়া পাল, বালি বিধানসভার বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়, উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী ও সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়কে। রবিবারের অনুষ্ঠানে দলীয় বিধায়কদের অনেকের অনুপস্থিত থাকার পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের একাংশের অনুপস্থিতি ফের একবার সদর তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরের গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্রকেই প্রকাশ্যে তুলে ধরল বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। আর এই প্রসঙ্গেই দলের একাংশের ধারনা, রাজ্য জুড়ে যেভাবে আবাস যোজনার দুর্নীতি হয়েছে সেই আঁচ লেগেছে হাওড়া জেলাতেও। তবে রবিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অরূপ রায় আস্বাস দিয়ে জানান, ‘সামনের পঞ্চায়েত ও পৌর ভোটে দল আরও ভালো ফল করবে।’ সঙ্গে এও দাবি করেন, , রাজ্য তথা জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করবে। এরই পাশাপাশি বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধনের দিনে স্লোগান বিতর্ক নিয়ে রাজ্য বিজেপিকে উশৃঙ্খল দল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরই রেশ ধরে বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিদ্ধ করে বলেন, ‘এঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই তাঁদের কর্মীদের উপর।’ পাশপাশি এটাও মনে করিয়ে দেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরণের স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়।