কুন্তলের বিএড কলেজের সঙ্গেই জড়িয়ে গেল লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারের নাম। হুগলির ধনেখালিতে ডিডিসিএল নামে মীরা কুমারের যে ট্রাস্ট রয়েছে, তাতেই রমরমিয়ে চলত কুন্তলের কলেজ, চার্জশিটে এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। কুন্তল ঘোষের এই বিএড কলেজের কথা অনেক আগেই প্রকাশ্যে এলেও প্রশ্ন উঠেছে যে, মীরা কুমারের ওই ট্রাস্ট কি আদৌ কুন্তলের কলেজ সম্পর্কে অবগত ছিল, না কি কুন্তলের প্রভাবের কাছে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে নতিস্বীকার করতে হয়েছিল? এই প্রসঙ্গে ইডি-র তরফ থেকে আরও জানানো হয় যে, ‘ইন্দ্রানী দেবী ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন’ কলেজটি ৩২ লক্ষ টাকায় তৈরি করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। এই কলেজ চালাত নিউ হরাইজন সোসাইটি। এই সোসাইটিতে সেক্রেটারি ছিলেন কুন্তল নিজে। যুক্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষও। সোসাইটির সদস্য হিসেবেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন কুন্তল।
পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন কলেজ চালু করার জন্য। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, সেই টাকার অঙ্কটা নিছকই খাতায়-কলমে আছে। আদতে বিনিয়োগের অঙ্ক অনেক বেশি। ইডি-র অনুমান ট্রাস্টকে অন্ধকারে রেখেই দুর্নীতির টাকায় কলেজ চালাচ্ছিলেন কুন্তল।
শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে ইডির তরফ থেকে এও দাবি করা হয় যে, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই সে সব কলেজ খোলা হয়েছিল। এই সব কলেজ থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে বেতনও পেতেন কুন্তল।
এছাড়াও ইডি-র চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ৪২ কোটি টাকা দিয়ে লিজে হাসপাতাল কিনতে চেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল। ‘বড়মা হাসপাতাল’ কেনার কথা ছিল তাঁদের। লিজ এগ্রিমেন্টও হয়ে গিয়েছিল। সেই বাবদ ১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।