অনলাইন প্রতারণার শিকার প্রাক্তন পুলিশ কর্তার পুত্র, ঘটনায় বিহার থেকে ধৃত ১

এবার অনলাইন প্রতারণার শিকার রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে। অভিযোগ, এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে খোয়াতে হয় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার টাকা। এরপরই অভিযোগ জানানো হয়, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। অভিযোগ নথিবদ্ধ হতেই, ঝাড়খণ্ডে হানা দেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত অজয় কুমার মহাতোকে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার বাসিন্দা এই অজয় কুমার মাহাতো
বিধাননগর পুল্শ কমিশনারেট সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি অভিন্দ কুমার মালিওয়ালের ছেলে বিক্রম মালিবাল অনলাইনে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ‘জাস্ট মানি বাই নাও-পে লেটার’ নামে একটি অনলাইন শপিং লোন অ্যাপের গ্রাহক ছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। সেখানে তাকে ওই সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেন। তিনি তাঁকে জানান যে, তাঁর প্যান কার্ডের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত সিভিল স্কোর আপডেট করতে হবে। তার জন্য তাঁকে একটি অনলাইন আবেদন পূরণ করতে হবে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে সেই ফর্মের লিঙ্ক পাঠানো হয়। এই হোয়াটসঅ্যাপেও ওই সংস্থার লোগো ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও তিনি জানান। সেটা যে একটি প্রতারণার ফাঁদ সেটা সহজে বোঝার উপায় ছিল না। ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছর সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার বিশ্বাসে সেই লিঙ্কে প্রবেশ করে তিনি ফর্ম ফিলাপ করেন।
এরপরই তিনি সংস্থার তরফ থেকে মেইল পান। সেখানে তিনি জানতে পারেন তার নামে বেশ কিছু অনলাইন শপিং করা হয়েছে যার মূল্য ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮৬ টাকা। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। দ্রুত বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের আদিকারিকেরা বুঝতে পারেন,ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাং এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এরপরই ঝাড়খণ্ডে হানা দেয় বিধাননগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, পেটিএম ডেবিট কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড একটি সাউন্ড বার এবং একটি এলইডি স্মার্ট টিভি উদ্ধার হয়। এরপরই ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, এই সংস্থার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করত এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা। তাদের থেকে এই সংস্থার অ্যাপের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে অন্যের নামে প্রোডাক্ট ক্রয় করা হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =