এই লড়াই জেতা হল না। প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছিল তাঁর। চিকিৎসার জন্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাঁর সমসাময়িক এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররাও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও আর্থিক সহযোগিতা করেছিল। বিসিসিআই সভাপতি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কঠিন পরিস্থিতি পাশে দাঁড়ায় বোর্ড। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই প্রয়াত হয়েছেন ৭১ বছরের অংশুমান গায়কোয়াড়।
দীর্ঘ ১২ বছর দেশের হয়ে খেলেছেন অংশুমান গায়কোয়াড়। ৪০টি টেস্ট এবং ১৫টি ওয়ান ডে খেলেছেন দেশের জার্সিতে। দুটি সেঞ্চুরি সহ করেছেন ১১৫৪ রান। এর মধ্যে সেরা ইনিংস পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ১৯৮৩ সালে জলন্ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন অংশুমান গায়কোয়াড়। পরবর্তীতে ভারতীয় দলের কোচ হন। ১৯৯৭-১৯৯৯ এবং এরপর ২০০০ সালে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তাঁর সময়েই প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে পারফেক্ট টেন-এর রেকর্ড গড়েন অনিল কুম্বলে। দিল্লিতে টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে। ২০০০ সালে অংশুমান গায়কোয়াড়ের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্স হয় ভারতীয় দল।
দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কোচের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট মহল। বোর্ড সচিব সহ শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় অংশুমান গায়কোয়াড়কে নিয়ে শোক বার্তায় লিখেছেন-ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট কখনও ভুলবে না। তিনি একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং কোচ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি খুবই ব্যথিত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।
বছরের শুরুতেই তাঁর সতীর্থ সন্দীপ পাতিল ব্যক্তিগত ভাবে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সমস্যার কথা প্রকাশ্যে আনেন। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অংশুমান গায়কোয়াড়। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা দল নির্বাচন কমিটির প্রধান দিলীপ বেঙ্গসরকার ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন। ৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের ক্যাপ্টেন কপিল দেব এবং ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যান্য কিংবদন্তি মহিন্দর অমরনাথ, সুনীল গাভাসকর, সন্দীপ পাতিল, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মদনলাল, রবি শাস্ত্রী, কীর্তি আজাদরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কোনও সহযোগিতাই অবশ্য প্রাণ বাঁচাতে পারল না দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়ের।