টিটাগড়ে স্কুলে বোমাবাজির ঘটনার তদন্তে ফরেনসিক টিম

কলকাতা: টিটাগড়ের ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলে বোমাবাজির ঘটনার তদন্তে এবার ফরেনসিক দল। সোমবার তিন সদস্যের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। বহুতলের যেখান থেকে স্কুলের ছাদে বোমা ফেলা হয়েছে, সেটার মধ্যে দূরত্ব মেপে দেখেন তদন্তকারীরা। স্কুলে লাগোয়া বহুতলগুলিও ঘুরে দেখেন তাঁরা। এদিন ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা ও টিটাগড় থানার পুলিশ। এদিন স্কুল পরিদর্শনে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদ্যসের প্রতিনিধি দল। তারা প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফরেনসিক দলের প্রধান ড. দেবাশিস সাহা জানান, তাঁরা নমুণা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এই মুহূর্তে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
গত শনিবার ক্লাস চলাকালীন বেলা ১১টা৪৫ মিনিট নাগাদ বোমার শধে কেঁপে উঠেছিল গোটা স্কুল চত্বর। স্কুলে বোমাবাজি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় রাজনীতিও। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায়, ধৃতদের মধ্যে তিন জন ওই স্কুলের প্রাক্তনী। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছিলেন, তদন্তে উঠে এসেছে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’-এর জেরে বোমাবাজি।
ধৃতদের বয়স ১৮-১৯-এর মধ্যে। বোমা তাদের কাছে কীভাবে এল? তার উত্তর মেলেনি। তবে আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুল। এদিন স্কুল পরিদর্শনে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদ্যসের প্রতিনিধি দল। তারা প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। পড়ুয়াদের মনে ভয়-ভীতি আছে কিনা, সেটাও তারা খতিয়ে দেখেন। স্কুলে নজরদারি বাড়ানোর জন্য তারা স্কুলে কর্তৃপক্ষকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেন। তবে ঘটনার দিন সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রশংসাও করেন।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি যশবন্তী শিবানী জানান, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তাঁরা কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবেন। বাড়তে থাকা অপরাধপ্রবণতা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, লকডাউনের পর মোবাইল ব্যবহার অতি মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। সবাই এখন মোবাইলে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ একদম কমে গিয়েছে। এটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − one =