নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে। তার ওপর বেতন ফেরানোর নির্দেশ। শ্রম দিয়ে বেতন নিয়েছেন। টাকা ফেরাবেন কেন? এমনই প্রশ্ন তুলে বুধবার হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীদের একাংশ। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি মামলাকারীদের।
আপাতত বেতন ফেরত দিতে হবে না গ্রুপ ডি-র চাকরিহারাদের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশিকার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্টের। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে বেঞ্চ কিছু বলেনি।নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এসএসসির গ্রুপ ডির ১ হাজার ৯১১ কর্মীর চাকরি গিয়েছে। বেতন ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন তাঁরা।
হস্পতিবার সেই মামলায় দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ -এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিহারাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি হলেও সিঙ্গল বেঞ্চের অন্য কোনও রায়ের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। ফলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে, এসএসসির কাউন্সেলিং চলবে। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে কোনও সমস্যা থাকছে না বলেই দাবি আইনজীবীদের।
গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।গত ১০ ফেব্রুয়ারি এসএসসিকে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপক ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন এত দিন ধরে চাকরি করে আয় করা বেতন ফেরত দেওয়ারও।
বিচারপতির নির্দেশ মতো চাকরি বাতিল হয় ১,৯১১ জনের। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশেরই শুনানি ছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।তাতেই বেতন ফেরানোর ব্যাপারে আপাতত স্থগিতাদেশ মেলায় ক্ষনিক স্বস্তিতে মামলাকারীরা।