মদন মাইতি
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পটাশপুরে শুরু হল ‘বিনে পয়সার ক্যান্টিন’। এখানে দিনরাত খেলেও দিতে হবে না কোনও টাকা। এতক্ষণে হয়তো আপনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন এই ক্যান্টিনে একবার যাবেন। তবে এই ক্যান্টিনে খাবার মিলবে না কোনও মানুষের। প্রবেশও নিষিদ্ধ। কী শুনতে অবাক লাগছে? আসলে এই ক্যান্টিন আদপে অবলাদের জন্য। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর দু’ নম্বর ব্লকের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাবের উদ্যোগে এই ক্যান্টিন খোলা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবী জুড়ে কমছে পশুপাখির আশ্রয়স্থল। আশ্রয়হীন হয়ে মাঝে মাঝেই লোকালয়ে খাবারের খোঁজে চলে আসছে তারা। আবার তীব্র গরমে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল-বিল নদী-নালা গরমের দাবদহে মানুষের পাশাপাশি বেহাল অবস্থা পশু-পাখিদেরও। তাই বছরভর পশু পশু পাখিদের জন্য পানীয় জল ও খাওয়ারের ব্যবস্থা করল পঁচেট স্টার ক্লাব। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিনে পয়সার ক্যান্টিন’। এই ক্যান্টিন চালু হওয়ায় স্বভাবতই মুখে হাসি ফুটেছে এলাকার পশুপ্রেমীদের মনে। ‘বিনে পয়সার ক্যান্টিনে’ যথেচ্ছ খাবার ও পানীয় জল পেয়ে ওরা প্রাণে বাঁচছে অবলার দল। ওদের জন্য থাকছে ভাত, মুড়ি, গম, কলা, আঙুর, শসা, কাঁচা ছোলা, গম, ভুট্টা, বাদাম এবং অবশ্যই পানীয় জল।
খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে রাস্তার ধারে ইট সিমেন্টের বাঁধানো বড় পাত্রে। ২৪ ঘণ্টা খোলা এই ক্যান্টিন। আবলাদের যখন ইচ্ছে তখন এসে মনে ভরে খেতে পারে।
সংস্থার এমনে অভিনব উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সারা বছরই নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে এই সংস্থা। কখন পাখিদের আশ্রয়ের জন্য কৃত্রিম বাসা তৈরি তো কখনো পরিবেশ রক্ষার্থে গাছে রাখি পরানো। আবার কোনও এলাকার দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ তো কখনও আবার ঝড়-বন্যার কবলে পড়া মানুষদের ত্রাণ বিতরণ। পরিবেশ দিবসে সংস্থার এই উদ্যোগে সফল করতে তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন এলাকার এলাকার পশু প্রেমীরা। বিনে পয়সার এই ক্যান্টিন সম্পর্কে ক্লাব কৃর্তপক্ষ জানান, অবলা পশুপাখি যাতে অনাহারে না থাকে তাই তাদের এই উদ্যোগ। স্থানীয়দের কাছে আবেদন প্রত্যেকে যেন তাদের বাড়ির অবশিষ্ট খাবার ফিলে না দিয়ে বিনে পয়সার ক্যান্টিনে দিয়ে যায়।