বাংলাদেশে শুরু হল প্রথম মেট্রো পরিষেবা, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (PM Sheikh Hasina) হাত ধরে বুধবার বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের একাংশের উদ্বোধন হল। রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের উদ্বোধনের জন্য এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। উদ্বোধনের আগে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকেই যাত্রীরা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, এদিন উদ্বোধনী মেট্রোরেলের জন্য পাঁচশো টাকার রিচার্জ কার্ডের (টিকিট) ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের কাছে এই মেট্রো পরিষেবা একেবারেই নতুন। তাই তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রথমে কিছুদিন প্রতিটি প্লাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে মেট্রো। আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয় বগি বিশিষ্ট ১০ সেট মেট্রো চলাচল করবে এবং গতিও থাকবে কিছুটা কম। প্রাথমিকভাবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো পরিষেবা। পরবর্তীতে পরিষেবার সময় ও মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
জানা গিয়েছে, উত্তরা থেকে আগারওগাঁও পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট, ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রতি মেট্রোর ছয়টি কোচের মধ্যে দুই প্রান্তের দুটি কোচ অর্থাৎ ট্রেইলর কারে চালক থাকবেন। এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবে। মাঝখানের চারটি কোচ মোটরকারে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি মেট্রোতে বসে যেতে পারবে ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রো ট্রেনের দুই পাশে সবুজ রঙের প্লাস্টিকের দুই সারি লম্বা আসন পাতা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নির্মাণাধীন শহরভিত্তিক রেল ব্যবস্থা হচ্ছে ঢাকা মেট্রো যা আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাস র্যা পিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেল বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রথম বারের মতো একটি অভিজ্ঞতা হবে। তাই যাত্রীদের টিকিট এবং পরিষেবা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যাত্রীরা যখন মেট্রোরেলের সঙ্গে পরিচিত হবে তখন আমরা মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রিপ, ট্রেন এবং স্টপেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =