কী হলে কী হতে পারত, এখন যেন সেই অঙ্ক। ভারত-ইংল্য়ান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ সমতায়। ঠিক তেমনই লর্ডস টেস্টও। ভারত কিংবা ইংল্যান্ড, কোনও দল এক বিন্দুও এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই। প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। লর্ডসের মন্থর পিচে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হত ভারতীয় ব্যাটারদের। লোকেশ রাহুল সেই পরীক্ষায় পুরোপুরি পাশ। কেরিয়ারের দশম, লর্ডসে দ্বিতীয় বার সেঞ্চুরি করলেন। তেমনই দুর্দান্ত ইনিংস ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাডেজার। ভারতের প্রথম ইনিংসও শেষ হয় ৩৮৭ রানেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। যদিও সময় নষ্টের খেলায় মাত্র এক ওভার সামলাতে হয়েছে।
কে বলে, শুভমন গিল আগ্রাসী নন! ভারতের নতুন টেস্ট ক্যাপ্টেন কিন্তু আগ্রাসন দেখাচ্ছেন। যেমন এ দিন দেখা গেল। ভারতের ইনিংস যখন শেষ হয়, দিনের খেলার ওভার অনেক বাকি থাকলেও সময়ের নিরিখে ১৬ মিনিটের মতো ছিল। ইনিংস ব্রেক দশ মিনিট। ফলে বাকি ৬ মিনিটে ২ ওভার করাই যেত। যদিও ইংল্যান্ড ওপেনাররা যে খেলতে চাইছেন না, তাঁদের হাবেভাবেই পরিষ্কার। শেষ বেলায় যতটা সম্ভব দ্রুত মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য ছিল।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং ওপেন করেন জসপ্রীত বুমরা। তাঁর ওভার শেষে দিনের খেলাও শেষ। মাত্র এক ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ড যে ভীত তাদের হাবেভাবেই পরিষ্কার হয়ে যায়। একটা ডেলিভারি সামলেই ক্রিজের মাঝে কথা বলতে শুরু করেন। পঞ্চম ডেলিভারিতে হাতে সামান্য লাগে জ্যাক ক্রলির। ফিজিয়ো ডেকে পাঠান।
টাইম নষ্টের খেলায় বিরক্ত দেখায় ভারতীয় শিবিরকে। তর্কেও জড়ান দু-দলের ক্রিকেটাররা। এর মাঝে মনোসংযোগ নষ্ট হয়েছিল ইংল্যান্ডেরও। জসপ্রীত বুমরার শেষ ডেলিভারিটা কোনও রকমে সামলান ক্রলি। ভাগ্য ভালো না হলে ব্যাটের কানায় লাগতেই পারত এবং কট বিহাইন্ডের প্রবল সম্ভাবনা ছিল।

