কলকাতা : শনিবার থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখবেন ফিরহাদ হাকিম। অন্যান্য সব কাউন্সিলর এবং জেলার নেতৃত্বও সেই কাজ শুরু করবে। তবে এ বিষয়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার যে অভিযোগ তুলছে তা নস্যাৎ করেছেন কলকাতার মেয়র।
ভূতুড়ে ভোটার প্রসঙ্গে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করেছেন, ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে হবে। এই নির্দেশের পর তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি শুরু হবে। বিজেপি ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, সেই এলাকার অন্তত ২০-২৫ হাজার হিন্দু ভোটারের নাম বাদ দিতেই এই কাজ শুরু করছে তৃণমূল।
এদিন পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলেন, ”ওরা (বিজেপি) মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ করতে চায়, আমরা সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষে। গুজরাতি, বিহারি, শিখ সবাই আমার ভোটার।” গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মেয়র।
বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদের মন্তব্য, ”গণতন্ত্র যাতে সত্যিকারের হয়, গণতন্ত্র নিয়ে যাতে সকলে বাঁচতে পারে, গণতন্ত্র যাতে হরণ না হয়ে যায়, সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। কোনও সম্প্রদায় বা ভাষা প্রসঙ্গে বলেননি। ওসব ভেদাভেদ বিজেপি করে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও আট জন কাউন্সিলরকে ডেকে এ ব্যাপারে আরও একপ্রস্থ বৈঠক করেছিলেন।
অনলাইন পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ নিয়ে, কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পদ্ধতিতেই পদ্ম শিবির মহারাষ্ট্র, দিল্লি দখল করেছে বলেও দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এ ব্যাপারে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরার পাশাপাশি, বইয়ে পড়া দাগানোর মতো করে দলের নেতা-কর্মীদের ‘টাস্ক’ও বেঁধে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিও তৈরি করেছেন।