বড়দিনের আঁচ নিতে .যখন ব্যস্ত কলকাতা ঠিক তখনই এক ভয়ঙ্কর বিপদের সামনে পড়তে যাচ্ছিলেন বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি অঞ্চলের বাসিন্দারা। শনিবার সকালে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকে আচমকাই আগুন ধরে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈষ্ণবঘাটা অঞ্চলে একটি গ্যাস গোডাউন রয়েছে। সেখানে সিলিন্ডারগুলি ডেলিভারি করতে ওই ট্রাকটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর। গোডাউনের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল ট্রাকটি। তবে সিলিন্ডারগুলি নামানোর আগেই ট্রাকটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়েই, সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকের এই আগুন লাগার খবর পেয়েই তা সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ চলে। এদিকে আগুন যাতে না ছড়ায় তার জন্য এলাকাবাসীও চেষ্টা চালাতে থাকেন আগুন নেভানোর। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যায়। এদিকে রাস্তাটি যথেষ্ট জনবহুল এবং আশপাশের বাড়িগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বড় বিপদের আশঙ্কায় এবং পরিস্থিতির মোকাবিলায় বৈষ্ণবঘাটা থেকে পাটুলি পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি।। এর জেরে বাইপাসের উপরও যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
এদিকে ওই গ্যাস কোম্পানির সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, যে ট্রাকে আগুন লাগে, তাতে ১৭২টি এলপিজি সিলিন্ডার ছিল।আর তা সবকটিতেই ছিল গ্যাস ভর্তি। এদিকে এই ঘটনায় প্ত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকের সামনের দিকে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রথমে তুবড়ে যেতে শুরু করে সিলিন্ডার। এর ফলে যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারত। সবক’টি গ্যাস ভর্তি ছিল। ট্রাকে লোডিং আনলোডিং চলছিল। সেই সময় আচমকা এই ঘটনা।তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তা তদন্তের পরই বলা সম্ভব বলে জানান দমকল আধিকারিকেরা। তবে প্রাথমিক অনুমান, গাড়িতে শর্টসার্কিটের কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে এই ঘটনার পর বাইপাস থেকে পাটুলিগামী রাস্তাটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ চলছিল।