ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, ধৃত ৩

বিরাট অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা। আর এই ঘটনায় পুলিশের জালে ৩ জন। সূ্রে খবর, নথিপত্রের ঝামেলা ছাড়াই দেওয়া হবে লোন, এমনটাই জানানো হয়েছিল এক স্মল ফাইন্যাান্স কোম্পানির তরফ থেকে। শর্ত একটাই, যে পরিমাণ লোনের আবেদন হবে, অ্যাকাউন্ট খুলে আগেই তার ১০ শতাংশ এফডি অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজি়ট করতে হবে। তার পর মিলবে সেই লোন। অভিনব কায়দায় প্রতারণা সন্দেহ নেই। তবে শেষরক্ষা আৎ হয়নি। শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ জমা পড়তেই অবশেষে ওই সংস্থার তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সম্প্রতি নোওভিনা নিধি লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করেন আমানতকারীরা। তাঁদের দাবি, ওই সংস্থার প্রতিশ্রুতি মতো অ্যাকাউন্ট খুলে এফডি অ্যাকাউন্ট করেছিলেন।প্রথমে অনেকেই লোনের টাকা পান। তবে দুই থেকে তিন বছর পরে, যাঁরা বড় অঙ্কের ঋণের আবেদন করতেন, এফডি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার পর, তাঁদের জানানো হতো নথিপত্রে গোলমাল রয়েছে। টাকা পেতে দেরি হবে। এ ভাবেই তাঁদের ঘোরানো হতো। একইসঙ্গে অভিযোগকারীরা এও জানান, সংস্থার নিউটাউনে অফিস রয়েছে। সেখানে গিয়েও বার বার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানানো হলেও, পাত্তা দেননি সংস্থার কর্মীরা।

সূত্রে এ খবরও মিলছে কেউ কেউ ২ থেকে ৩ কোটি টাকার লোন চেয়েছিলেন। তাতে তাঁদের প্রাথমিক ভাবে এফডি করার জন্য জমা দিতে হয় ঋণের ১০ শতাংশ টাকা। লোনও মেলেনি, ওদিকে এফডি-র জন্য যে টাকা রাখা হয়েছে তারও হদিশ নেই। এ ভাবেই বিভিন্ন জেলায় কয়েকশো কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার কর্ণধার প্রীতম দাশগুপ্ত, ডিরেক্টর বাপ্পা ঘোষ এবং এক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − seven =