ফের প্রতারণার জট খুলল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি মিথ্যা গল্প ফেঁদে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম পার্থপ্রতিম নাথ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে মিলেছে তিনটি এটিএম কার্ড আর একটি মোবাইল। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারির পর আরও তথ্য সামনে আসে। এই মুহূর্তে যুবকের দুই স্ত্রী রয়েছেন। একজন নামখানায় থাকেন। অপরজন থাকেন ব্য়ারাকপুরে।
এদিকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই যুবক এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল অনেকদিন আগেই। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল খোলে। পেশায় চিকিৎসক বলেই ওই ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে জানান তিনি। পাশাপাশি নিজেকে হাওড়ার এক নামি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বলেও পরিচয় দেন। আর সেই পরিচয় দিয়েই আলাপ জমিয়েছিলেন বাগুইআটির বাসিন্দা বছর চব্বিশের অনিশার সঙ্গে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনিশাকে ওই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচিতি বাড়ে। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে যুবতী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।
এরপরই একদিন মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অনিশাকে ফোন করে জানায়, পার্থর পরিবারের লোকেরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু টাকার প্রয়োজন। এই বলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চেয়ে নেয় অনিশার বাড়ি থেকে। টাকা দেওয়ার পর থেকে পার্থ সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না অনিশা বা তাঁর বাড়ির লোকেরা। সন্দেহ হওয়ায় একদিন হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালেও পৌঁছে যান অনিশারা। কিন্তু খোঁজখবর নিতে জানতে পারেন, ওই নামে কোনও চিকিৎসক সেখানে নেই। তখনই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় তাঁদের কাছে। এরপরই গতবছরের ৫ নভেম্বর বিধাননগর সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ জানান ওই যুবতী। সেই অভিযোগের পর থানা থেকে নোটিসও পাঠানো হয় পার্থপ্রতিমকে। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। এরপরই শুক্রবার নামখানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানেই পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত পার্থকে।