অবশেষে বাল্য বিবাহ রোধে পায়ে হেঁটে দিল্লি পৌঁছলেন খানাকুলের এক শিক্ষক

প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর সমাজ সংস্কারের সংকল্প নিয়ে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে ছিলেন খানাকুলের বিশিষ্ট শিক্ষক দেবাশিস মুখার্জি।
শিশু নিগ্রহ এবং বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বাড়াতে খানাকুলের শিক্ষক দেবাশিস মুখার্জি পায়ে হেঁটে দিল্লি যাত্রা করেন। অবশেষে সেই যাত্রা সফল হয়। খানাকুলের রাধানগর থেকে ৮ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ৩২ দিন পদযাত্রার পর দিল্লিতে পৌঁছন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,পায়ে হেঁটে খানাকুলেরর রঘুনাথপুর থেকে বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক প্রচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে দিল্লিযাত্রা করেন তিনি। একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় গোলাপ সুন্দরী সেজে খানাকুলের মাঝপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখার্জি পায়ে হেঁটে দিল্লি যাত্রা করেন। খানাকুলের পবিত্রভূমি রঘুনাথপুর হল ভারতের আধুনিক মানুষ তথা নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রান পুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাড়ি। তাই তিনি রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাড়ি থেকেই যাত্রা শুরু করেন। খানাকুল থেকে দিল্লি প্রায় ১৫০০ কিলোমিটারের পথ পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে ৩২ দিন। প্রাকৃতিক বাঁধা থেকে শুরু করে সমস্ত বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতন করেন পথ চলতি মানুষকে। এই বিষয়ে শিক্ষক দেবাশিস মুখার্জি বলেন, আমার মিশন সফল হয়েছে। রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটা রঘুনাথপুর থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছিলাম। ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে দিল্লি পৌঁছই।বাল্য বিবাহ ও শিশু নিগ্রহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার করি। আমাদের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার আমাকে দিল্লির পার্লামেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন। অসংখ্য মানুষের আশীর্বাদে আমার এই মিশন সফল হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 17 =