সৈয়দ মফিজুল হোদা, বাঁকুড়া
বাঁকুড়ায় তৈরি একটি জিরো বাজেট ফিচার চলচিত্র ‘কলমকাঠি’ ইতিমধ্যেই সুইডেন এবং তুর্কি থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেখানো হয়েছে কলকাতা চলচিত্র ফেস্টিভ্যালে বিজলি সিনেমা হলে। ভিন দেশ থেকে শুরু করে ভিন জেলার মানুষ ‘কলমকাঠি’ উপভোগ করেছেন।
কলমকাঠি পরিবার পাঁচটা হ্যারিকেন এবং চারটে লণ্ঠনকে সম্বল করেই একটি রূপকথাকে বাস্তবে পরিণত করেছে। বিন্দুমাত্র মেকআপ ব্যবহার করা হয়নি। আরও অবাক হওয়ার বিষয় হল, অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের শুটিংয়ের কস্টিউম নিজের বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে হয়েছে। বাঁকুড়ায় তৈরি সেখানকার মানুষদের দ্বারা পরিচালিত-অভিনীত এই সিনেমা অবশেষে দেখল বাঁকুড়ার মানুষ। উন্মাদনা পৌঁছে গিয়েছিল অন্য পর্যায়ে। বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্রভবনে দেখানো হয় ‘কলমকাঠি’। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা।
ইংরেজিতে ‘বিগার পিকচার’ বলে একটা কথা আছে, যার অর্থ হল বড় বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। ‘কলমকাঠি’ সেই চেষ্টাই করেছে। লেখক থেকে পরিচালক, বেশিরভাগ অভিনেতা এবং অভিনেত্রী এবং এডিটর সকলেই বাঁকুড়ার বাসিন্দা। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জানা- অজানা জায়গায় হয়েছে শুটিং। খাতড়া মহকুমার সোনামণি পাহাড় এবং বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন রাজগ্রামে হয়েছে শুটিং। নিজের জেলার জায়গা এবং বাঁকড়ি ভাষায় সিনেমা দেখে একপ্রকার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা। এমনিতেই বাঁকুড়া শহরে কোনও সিনেমা হল নেই। যেগুলি ছিল সেগুলি সব বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তারই মধ্যে হঠাৎ করে সকলের প্রিয় মঞ্চ রবীন্দ্রভবনে একটি ‘ফিচার ফিল্ম’ উপভোগ করে আবেগ আপ্লুত বাঁকুড়ার মানুষ।
‘কলমকাঠি’র সাফল্য গাঁথা এখন বাঁকুড়াবাসীর মুখে মুখে ঘুরছে। কোনও বাজেট এবং পেশাদার অভিনেতা ছাড়াও যে চলচিত্র নির্মাণ করা যায় সেটাই প্রমাণ করেছে কলমকাঠি পরিবার। হাজার হাজার যুবক-যুবতীর জন্য উদাহরণ এবং অনুপ্রেরণার কাজ করবে বাঁকুড়ার এই সিনেমা।