ব্যারাকপুর : থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে আয়োজিত ‘এশিয়া পেসিফিক ইন্টারন্যাশনাল যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় করে ব্যারাকপুরে ফিরলেন রোশন সিং। আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় ৩১-৪০ বছর বয়সী বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন রোশন। মঙ্গলবার রাতে তিনি ব্যারাকপুরের কে এন মুখার্জি রোডের বাড়িতে যখন ফেরেন, তখন এলাকার খুশির হাওয়া।
বুধবার ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সোনা জয়ী রোশনকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ছেলেবেলা থেকেই অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা রোশনের। তবুও যোগাসনে তিনি জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছেন। ওষুধের দোকানে কাজ করা রোশন আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন প্রশিক্ষক সুদীপ দাস। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে লড়াই করে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করার খবরে খুশি রোশনের পরিবারও। রোশন জানালেন, ‘দেশ তথা রাজ্য সর্বোপরি ব্যারাকপুরের নাম উজ্জ্বল করতে পেরে ভীষন আনন্দ লাগছে। তবে এই জয়ের কৃতিত্ব কিন্তু তাঁর প্রশিক্ষকের। লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রশিক্ষক সাহায্যও করেছেন এবং সাহসও জুগিয়েছেন।’ অন্য দিকে প্রশিক্ষক তথা স্বস্তিক অষ্টাঙ্গ অ্যাকাডেমির কর্নধার সুদীপ দাস বলেন, ‘তাঁর একাডেমির গর্ব রোশন। খুব গরিব পরিবারের সন্তান এই রোশন। তিনি ছাড়াও গুটি কয়েক শুভানুধ্যায়ী ওর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।’ সুদীপবাবুর কথায়, ‘আশা করেছিলাম রোশন ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। ওকে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু আজ আনন্দে দুজনের চোখে জল নেমে এসেছে।’ যোগা প্রশিক্ষক সুদীপ দাস আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ব্যারাকপুরের বুকে রোশনের মতো অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। ওদেরকে সহযোগিতা করতে যেন সরকার এগিয়ে আসে।’