জুরিখ: আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির(আইওসি) গ্রিন সিগন্যাল পেতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ফিফা। কাতার বিশ্বকাপ থেকে নির্বাসিত করা হল রাশিয়াকে। ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোয় রাশিয়াকে কঠোর শাস্তি দিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। আর কোনও ভাবেই কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ পারবে না রাশিয়া। সোমবার ফিফা কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাসিত রাশিয়া। শুধু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেই নয়, ক্লাব ফুটবলেও রাশিয়াকে একঘরে করল উয়েফা।
ফলে ২৪ মার্চ ফিফা বিশ্বকাপের প্লে অফে কোনও ভাবেই আর মাঠে নামতে পারবেন না রাশিয়ার ফুটবলাররা। বাই পেয়ে সরাসরি পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গেল পোল্যান্ড। রবিবার ফিফার বৈঠকে ঠিক হয়, একমাত্র দেশের নাম ও পতাকা ছাড়াই আন্তর্জাতিক আঙিনায় খেলার সুযোগ পাবে রাশিয়া। মাঠে বাজবে না সে দেশের জাতীয় সঙ্গীতও। ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়া নামে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার ছাড়পত্র পাবে তারা। কিন্তু ফিফার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোটে আওয়াজ তোলে পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্লে-অফ ম্যাচে পোলান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার খেলার কথা ছিল আগামী মাসে। তবে ফিফা রাশিয়াকে নির্বাসিত করায় সেই ম্যাচ ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ইউরোপা লিগেও রাশিয়ার ক্লাবগুলো আর খেলতে পারবে না। রাশিয়ার মহিলা ফুটবল দলকেও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। গত রবিবার বিশ্বের সমস্ত স্পোর্টস ফেডারেশনগুলিকে আইওসি চিঠি দিয়ে জানায়, রাশিয়া আর বেলারুশকে নির্বাসিত করতে। এরপরই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয় ফিফা। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
এ বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ইউরো কাপেও খেলতে পারবে না রাশিয়া। ক্লাব ফুটবলেও রুশদের কপালে জুটলো বড়সড় শাস্তি। ইউরোপা লিগে খেলতে পারবে না স্পার্টাক মস্কো। পরের মাসে শেষ ষোলোয় জার্মান ক্লাব লিপজিগের বিরুদ্ধে খেলার কথা থাকলেও তা এখন বিশ বিঁও জলে। ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে কূটনৈতিক জগতে যেমন নিন্দিত হয়েছে রাশিয়া, ক্রীড়াক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ল। বিশ্বে খেলার দুনিয়ায় ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে রাশিয়া।