আর কয়েকটা মিনিট। সারা বিশ্বের নজর এখন কাতারের দোহার লুসেইল স্টেডিয়ামে। এই দিনটার জন্যই তো অপেক্ষা করে থাকে গোটা ফুটবল বিশ্ব। একটু পরই ফুটবল দেবতা লিখে দেবেন পরবর্তী চার বছরের কাদের অধিকারে থাকবে বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, বিশ্বের সেরা ফুটবল দল। আর এখানেই সবাই এখন যেন এক চাপা উত্তজেনায় ফুটছেন যে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স-এর এই লড়াইয়ের শেষ লিওনেল মেসি কি বিশ্বকাপে সোনালি ট্রফি জয়ের স্বাদ পাবেন? নাকি ফের একবার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়বেন কিলিয়ান এমবাপে? আর এই বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত কলকাতাবাসী। বেশির ভাগ রাস্তাই জনমানবহীন। সবার চোখ টিভির পর্দায়।
এদিকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য মেসি-ভক্তের প্রার্থনা, একবার অন্তত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হোক আর্জেন্টিনা। স্বপ্নপূরণ হোক মহানায়কের। ২০২২-এর বিশ্বকাপে মেসি রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। নিজে ৫ গোল করে রয়েছেন সোনার বুট জয়ের দৌড়ে। সেই সঙ্গে বিপক্ষের ডিফেন্স চিরে বাড়াচ্ছেন গোলের ঠিকানা লেখা পাস।আর তা গোলে কনভার্ট করছেন কখনও হুলিয়ান আলভারেজ বা কখনও নাহুয়েল মোলিনা। এখানে একটা কথা বলতেই হয় রবিবার সন্ধেয় বিশ্বকাপে নিজের ২৬তম ম্যাচে নামছেন লিওনেল মেসি। যা বিশ্বরেকর্ড। তিনি ভেঙে দিতে চলেছেন জার্মানির কিংবদন্তি লোথার ম্যাথেউজের ২৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
এদিকে পিছিয়ে ফ্রান্সও। এমবাপের দুরন্ত গতি বিপক্ষের শিবিরে এক আতঙ্ক। মেসির মতোই ২০২২-এর বিশ্বকাপেও তিনি ৫ বার বল জড়িয়েছেন বিপক্ষের জালে। ফলে মেসির সঙ্গে সমান তালে সোনার বুট জয়ের দৌড়ে রয়েছেন তিনিও। এদিকে এমবাপের সামনেও এক বড় চ্যালেঞ্জ। পরপর দুবার বিশ্বকাপ জিতে নজির গড়ার সামনে দাঁডিয়ে তাঁর দেশ। পেলে-মারাদোনাও এ কীর্তি করে দেখাতে পারেননি বিশ্বকাপে। আর ফ্রান্সের এই জয়রথ আটকাতে মরিয়া আর্জেন্টিনা। আপাতত যা খবর তাতে আর্জেন্টিনার প্রথম দলে গোল রক্ষার দায়িত্বে থাকছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। রক্ষণভাগে স্টপার ব্যাক হিসাবে নিকোলাস ওতামেন্দি ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর খেলা নিশ্চিত। ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজানো হলে সাইড ব্যাক হিসাবে খেলতে পারেন নাহুয়েল মোলিনা ও গঞ্জালো মন্তিয়েলের মধ্যে কোনও একজন। মন্তিয়েল কার্ড সমস্যায় সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি।তবে ফাইনালে তাঁর খেলতে অসুবিধা নেই। সঙ্গে খেলবেন মার্কোস আকুনাও। আকুনাও আগের ম্যাচে কার্ড সমস্যায় খেলতে পারেননি। এদিকে দি মারিয়া এদিন শুরু থেকে খেললে আর্জেন্টিনার আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়বে সন্দেহ নেই। তবে দি মারিয়া শুরু থেকে না খেললে খেলতে দেখা যেতে পারে লিজান্দ্রো মার্তিনেজকে। মাঝমাঠের ভরসা রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ ও ম্যাক অ্যালিস্টার। আক্রমণভাগে লিওনেল মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজ।
এদিকে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলাবেন দিদিয়ে দেশঁ। কারণ, ক্যামেল ফ্লু থেকে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে দলে প্রত্যাবর্তন করছেন দায়ু উপামেকানো ও আদ্রিয়াঁ হাবিয়ো।