কলকাতা: সারা জীবন দায়িত্বপালন করে জীবনের উপান্তে এসে একা হয়ে পড়েন ওঁ রা। দরকার হয় নির্ভরতার হাত, ভালবাসার স্পর্শের। কিন্তু চাইলেই কি তা মেলে?
দুর্গাপুজো তো সকলের উত্সব। তবে সেই পুজোয় ব্রাত্য থাকবেন কেন বয়স হয়ে যাওয়া অশক্ত শরীরের মানুষগুলো। করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে শহর কলকাতা এখন একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে। চারদিকে পুজো আবহ। এমন সময় এই শহরের বেশ কিছু নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে ঠাকুর দেখানোর উদ্যোগ নিল কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রিয়ালটেক নির্মাণ প্রাইভেট লিমিটেড। পঞ্চমীতে সেই ঠাকুর দেখা শুরু হল আমহার্ট স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে। কোম্পানির ডিরেক্টর শিশির গুপ্ত জানান, এবছর পুজোটা অনেককাল বাদে আবার স্বাভাবিক। তাই মাকে দেখার আনন্দ থেকে কোনওভাবেই কেউ বঞ্চিত হোক চাই না। সেইজন্যই কলকাতার সেরা ২৫টি পুজোকে যাদের হাত ধরে একসময় ঠাকুর দেখেছি, আজ তাদের হাত ধরে দেখানোর ব্যবস্থা। পুজো পরিক্রমায় বয়স্কদের আনন্দ দেওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করা হয়। থাকে কুইজের ব্যবস্থা, পুরস্কার। পুজো পরিক্রমায় এবছরও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন খ্যাতনামা বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।