ব্যারাকপুর : কাউকে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল চড়া সুদের, কাউকে আবার চাকরির। সেই সব টাকা নিয়েই চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নৈহাটির মজুমদার দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনার তিন মাস পরে বেঙ্গালুরু থেকে মজুমদার দম্পতি গ্রেপ্তার করে নৈহাটিতে আনা হয়। দম্পতি ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই মঙ্গলবার নৈহাটি থানায় ও ব্যারাকপুর আদালতে জড়ো হন প্রতারিতদের একাংশ।
জানা গিয়েছে, টাকা না পেয়ে লোকজন মজুমদার দম্পতিকে তাগাদা দিচ্ছিলেন। পাওনাদারদের উৎপাত বাড়তেই চলতি বছরের ২০ মে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেন নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার। বাড়িতে তালা ঝুলছে দেখেই সেদিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন প্রতারিতরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির নৈহাটি থানার পুলিশও। সেদিন প্রতারিতরা মজুমদার দম্পতির বিরুদ্ধে নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় তিন মাস বাদে সোমবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকে মজুমদার দম্পতি গ্রেপ্তার করে নৈহাটিতে আনা হয়।
তনুশ্রী সরকার বলেন, ‘বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ পাইয়ে দেবার নাম করে গত ফ্রেবুয়ারি মাসে সোমাশ্রী ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। ধার করে ওনাকে সেই টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরিও মেলেনি। টাকাও ফেরত পাইনি।’ তনুশ্রীর দাবি, শুধু নৈহাটির বিভিন্ন এলাকা থেকেই ১০-১২ কোটি টাকা তুলেছে মজুমদার দম্পতি। তাছাড়া কৃষ্ণনগর, জয়নগর, বেলুড়, সোদপুর, দক্ষিণেশ্বর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ওরা টাকা তুলেছে। প্রতারিত আর এক মহিলা দেবযানী বৈরাগী বলেন, ‘নতুন বাড়ি বানিয়ে ধার-দেনায় জড়িয়ে গিয়েছি বলে প্রথমবার ৫০ হাজার নিয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যবসায় টাকা লগ্নি করলে ভালোই আয় হবে, এই প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। গহনা বন্ধক রেখে সেই টাকা সোমাশ্রীকে দিয়েছিলাম।’ থানায় ও আদালতে দাঁড়িয়ে প্রতারিতরা টাকা ফিরে পাবার পাশাপাশি ধৃত দম্পতির কঠোর শাস্তির দাবি করেন।