কাতারে খোলামেলা পোশাক পরলেই ঠাঁই হবে শ্রীঘরে

মহাযুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। শুরু হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই মরুদেশে বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শক সমর্থকেদের জন্য তৈরী হয়েছে লম্বা চওড়া বিধিনিষেধের তালিকা। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্কের ঝড়। রক্ষণশীল দেশ কাতারকে বিশ্বকাপের মতো খেলা আয়োজন করতে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত, এমন কথাও শোনা গেছে। এ বার কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসা মহিলাদের উদ্দেশে আরেক বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসল কাতার সরকার।নিয়ম মেনে পোশাক না পরলে মহিলাদের ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে।

বিধিনিষেধগুলির তালিকার মধ্যে প্রথমত, দেশের জনপ্রিয় স্থানগুলির ফটোগ্রাফি এবং ভিডিয়োগ্রাফির জন্য সংবাদমাধ্যমগুলিকে কাতার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতির আবেদন নিতে হবে। গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডিয়া কভারেজের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে মধ্য-প্রাচ্যের দেশটিতে বিশ্বকাপ চলাকালীন স্থানীয়দের বাড়িতে সাক্ষাৎকার নেওয়া চলবে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জায়গাগুলিতে সংবাদমাধ্যম একেবারে নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধের তালিকা এখানেই শেষ নয়। সরকারি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, উপাসনালয় এবং হাসপাতালের কাছাকাছি বা ভিতরে ফুটেজ নেওয়া যাবে না। কোনও বাড়ির মালিকের সম্মতি থাকলেও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা যাবে না। দোহার শুধুমাত্র তিনটি স্থান এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না। সেগুলি হল- কর্নিচে ওয়াটারফ্রন্ট প্রমনেড, দ্য ওয়েস্ট বে এলাকা এবং টাওয়ার এলাকা।

ফিফার ওয়েবসাইটে মহিলাদের পোশাকে সেই অর্থে কোন বিধিনিষেধ না থাকলেও, হাঁটু ও কাঁধ ঢাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সংষ্কৃতিকে সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে কাতার সরকার জানিয়েছে, ইসলাম ধর্মকে সম্মান না জানিয়ে কাতারে খোলামেলা পোশাক পরলে জরিমানা হতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে জেলও হতে পারে। কাতারের আইন অনুযায়ী, ইউরোপীয় দেশগুলিতে যেই ধরণের খোলামেলা পোশাক পরা অবৈধ নয় বা অন্যায্য নয়। তবে সেই রকম পোশাক কাতারে পরলে গ্রেফতার হতে পারেন মহিলা সমর্থকেরা। তাই মহিলা সমর্থকদের অত্যন্ত সচেতন হতে হবে তাদের পোশাক নিয়ে। না হলে তাদের ঠাঁই হবে শ্রীঘরে। শুধু মহিলারাই নন, পুরুষরাও জরিমানার সম্মুখীন হতে পারেন এমনকী তাদেরও জেল হতে পারে তাঁরা যদি জামা বা গেঞ্জি সম্পূর্ণ খুলে ফেলেন। বিশ্বকাপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “দর্শকরা তাঁদের নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক পরিধান করতে পারেন। আশা করা হচ্ছে পর্যটকেরা কাঁধ ঢাকা এবং হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা পোশাক পরে পাবলিক প্লেসে, মিউজিয়ামে বা কোনও সরকারী দফতরে যাবেন।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 1 =