পঞ্চায়েত ভোটের সম্মুখ সমরে বাবা-ছেলে। তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন বাবা। আর নির্দল প্রতীকে বাবার বিরুদ্ধে লড়ছেন একমাত্র ছেলে। পাশাপাশি পরিবারের আর এক নিকট আত্মীয় সিপিএম প্রতীকে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হরিহরপাড়া পঞ্চায়েতের দস্তুরপাড়া ১৭ নম্বর সংসদ সরগরম হয়ে উঠেছে তিন ঘনিষ্ঠ জনের ভোট কাটাকুটিতে। এলাকার চায়ের দোকানগুলিতে গরম চায়ে চুমুকে আলোচনার ঝড় উঠছে। কে কাকে কত নম্বর দেবেন তারই হিসেব নিকেশ চলছে সকাল সন্ধ্যা।
বাইশ আসনের হরিহরপড়া পঞ্চায়েতে এবার এড়িয়া ডোমিনেশনে সাতটি আসন বেড়েছে। তারমধ্যে ১৭ নম্বর সংসদের ৯৯ ও ১০০ দুটি পার্টে ভেঙেছে। ২০১৮ সালে ১৭ নম্বর সংসদ থেকে তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছিলেন সেন্টু শেখ। এবারও দলের প্রতীকে ৯৯ পার্টে টিকিট পেয়েছেন বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য সেন্টু শেখ। বাবার বিরুদ্ধে নির্দল প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন সুমন শেখ। আর একই সংসদ থেকে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সেন্টু শেখের শ্যালক ইয়াসিন মোল্লা।
দস্তুরপাড়া ১৭ নম্বর সংসদের ৯৯ নম্বর বুথে ৭০৮ জন ভোটার তিন ঘনিষ্ঠের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। সেন্টু শেখের দাবি, জয় হাতের মুঠোয়। প্রতিদ্বন্দ্বী বলে কাউকেই ভাবছেন না। শ্যালক হলেও পরিবার ও আত্মীয়দের ভোট ইয়াসিন মোল্লার ঝুলিতে যাবে না বলেই জোরালো দাবি তুলেছেন বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য। বিরোধী প্রতীকে ছেলে কি ফ্যাক্টর হবে? সেন্টু শেখ বলেন, ছেলে আমার সুবিধার জন্যই দাঁড়িয়েছে। ছেলের দু’জন এজেন্ট আর আমার দু’জন এজেন্ট থাকলে বুথে কারচুপি, বিরোধীরা দাদাগিরি করার সাহস পাবে না। নির্দল প্রার্থী সুমন শেখ বলেন, আমি এই নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলব না।
সেন্টু শেখ প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলের প্রার্থীপদ নিয়ে একটা সঙ্গত যুক্তি খাড়া করেছেন অবশ্যই। সুমন শেখ উত্তর এড়িয়ে গেলেও এলাকার মানুষ এই বুথেই নজর রেখেছেন। স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে এক প্রৌঢ় বলেন, লড়াই জ্ঞাতি-গুষ্টি পরিবারের মধ্যে। আমারা মুখিয়ে রয়েছি ভোটের ময়দানে বাবা ছেলের লড়াইয়ের ফলাফলের দিকে। বাবার ভোট কেটে ছেলে প্রতিপক্ষ বাম প্রার্থীর সুবিধা করবেন কিনা সে আলোচনাও দফায় দফায় উঠছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থী জয়ের ব্যপারে একশো শতাংশ আশাবাদী বলেই দাবি করেছেন।