ভুল চিকিৎসার অভিযোগে নার্সিংহোম ভাঙচুর মৃত শিশুর পরিবারের, অস্বীকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতেও

চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কাণ্ড বাঁধলো হাওড়াতে। শিশুর পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘটলো নার্সিংহোমে ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনা| ভাঙচুর ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অপারেশন টেবিলেই শিশুটি জ্ঞান হারায়।  তারপর শিশুটিকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও কোথাও ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল। এরপর ভর্তি করাতে না পেরে ফিরে এসে রামরাজাতলার নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় শিশুর পরিবারের সদস্যরা। মৃত ওই শিশুর নাম স্বাতক রায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চার সমস্ত পরীক্ষা করে গতকালকে অপারেশন করার তারিখ নির্ধারণ করে ওই নার্সিংহোম। এরপর সকাল ৮ টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয়। প্রথমে দুপুর ২ তো তারপরে ৩ টের সময় বললেও ৩:৩০ মিনিটে তাঁর অপারেশন করা শুরু হয়। তাঁর গ্যাস্ট্রিকের অপারেশন করার কথা। এরপর বিকেল ৫:৩০ মিনিটে পরিবারের লোকেদের জানানো হয় বাচ্চার জ্ঞান ফিরছে না। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পৌঁছলেই তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হবে। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য দশ হাজার টাকা দাবি করা হয় নার্সিংহোম থেকে। পরে ছয় হাজার টাকায় রফা হয়। সেই টাকা তাঁদের কলকাতায় যাওয়ার সময় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কলকাতায় বেশ কয়েকটি ওই নার্সিংহোমে গেলেও অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চাকে ভর্তি নেয়নি তাঁরা। এভাবে পিজি-সহ তিন চারটি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও ভর্তি করতে পারেনি তাঁদের বাচ্চাকে বলেই অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।

বাচ্চার ঠাকুমা আরতী রায় অভিযোগ করে বলেন আধ ঘণ্টার অপারেশন তিন ঘণ্টা ধরে করার পরেও কোনও কাজ হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও তাঁদের থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তিনি বাচ্চার চিকিৎসককে ভুয়ো বলেই দাবি করেন। তাঁর নাতির জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেশন অবদি ব্যবস্থা করতে পারেননি ওই চিকিৎসক বলেই জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =