বর্ষায় চুল পড়ছে? এই ভুলগুলো করছেন না তো!

বর্ষা আসা মানেই চুলের হাজারও সমস্যা। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। ভ্যাপসা গরমে ঘামে চুলের গোড়া ভিজলেও শুকোতে চায় না। ফলে গোড়া আলগা হয়ে চুল ঝরার সমস্যা বাড়ে, বাড়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যাও। নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া, চুল ঝরা ছাড়াও কারও আবার এই সময়টাতে দেখা দেয় খুসকিও। রোজকার জীবনে আমরা এমন কিছু করে ফেলি, যাতে চুলের ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে। তাই দেখে নিন কোনও কাজগুলো করবেন না।

জল পানে অনীহা-বর্ষায় সাধারণত জলের তেষ্টা কিছুটা কমে যায়। অনেকে আবার নিয়মিত জল বা তরল ঠিক করে পান করেননা। এটা কিন্তু ভুল। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলেও চুলকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। তাই জলের পাশাপাশি ফল, সবজি রোজের ডায়েটে রাখুন। আর চুল ভালো রাখতে প্রোটিন বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

ময়শ্চারাইজার ব্যবহারে আলসেমি-ত্বকের মতো চুলের দরকার ময়শ্চারাইজার। সেটা বর্ষাকাল হলেও। বাজারচলতি ভালো কোনও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন চুলের জন্য।

যে কোনও চিরুনি ব্যবহার করেন? অনেক সময়ই আমার যে কোনও চিরুনি ব্যবহার করি। এটা চুল ঝরার অন্যতম কারণ।মোটা দাঁড়ার চিরুনি সবসময় ব্যবহার করুন। এতে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হবে। সবচেয়ে ভালো কাঠের চিরুনি।

খোলা রাখবেন না-চুল খুলে স্টাইলিং-এর বদলে বিশেষত বর্ষার সময় চুল বেঁধে স্টাইলিং করুন। চুল যত খোলা রাখবেন ততই দূষণ, বর্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতায় চুলের ক্ষতি হবে বেশি।

ইলাস্টিক ব্যান্ড ব্যবহার করবেন না-রাবার বা ইলাস্টিক ব্যান্ড ব্যবহার করবেন না কোনওমতেই। কারণ, এই ব্যান্ডে চুলে টান পড়ে বেশি। ফল, ব্যান্ড খুলতে গেলেই একগাদা চুল উঠে আসে। তাই কাপড়ের, সিল্কের ব্যান্ড ব্যবহার করুন।

হিটিং টুল ব্যবহার করবেন না-চুলের স্টাইলিং করতে গিয়ে আয়রণ বা অন্যান্য মেশিন ব্যবহার করে আমরা চুলের ক্ষতি করে ফেলি। তাই যথা সম্ভব এই ব্যবহারগুলো বন্ধ করুন। একান্তই হিটিং টুল ব্যবহার করতে হলে ভালো হিট প্রোটকটর ব্যবহার করুন।

অয়েল ম্যাসাজ- বর্ষা মানে চুলতো চিপচিপে হয়ে থাকে। তাই আলাদা করে তেল ম্যাসাজের কথা অনেকেই ভাবেন না। আর সেটা খুব ক্ষতিকর। ইষদুষ্ট নারকেল তেল তুলের গোড়ায় হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। এতে স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন ভালো হবে। চুল মজবুত হবে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে।

হেয়ার মাস্ক-এই সময়টা হাল্কা কোনও হেয়ার মাস্কে মাসে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন। দই, কলা, মধু অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে প্যাক বানিয়ে পরিষ্কার চুলে গোড়া থেকে ডগায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

মৃদু শ্যাম্পু-যে শ্যাম্পু চুলের জন্য ঠিকঠাক মনে হয় সেটাই ব্যবহার করুন। চুলে যখন সমস্যা আছে, তখন বেশি এক্সপিরিমেন্ট না করতে যাওয়াই ভালো।

চুল ধুতে হবে- বর্ষায় প্রতিদিন চুল খুব ভালো করে ধোওয়া দরকার। চুল ধুয়ে এক মগ জলে এক থেকে দুচামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে চুলে ঢেলে দিন। এতে চুলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =