রেলের কাছে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছিল, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ভুয়ো টিকিট চেকার ট্রেনে উঠে টিকিট চেক করছে। বিভিন্ন যাত্রীদের কাছ থেকে নানা সময় কর্তব্যরত টিটিরা জরিমানার ভুয়ো কাগজপত্রও পেয়েছিলেন বলেও জানতে পারে রেল দপ্তর। সমস্যা হচ্ছিল, এইসব কাগজ যে জাল সেটা রেল দেখেই বুঝতে পারলেও কোনও ভাবে এই জালিয়াতির হদিশ পাচ্ছিল না। এদিকে শনিবার সকালে বালিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনের মধ্যে চারজন টিকিট চেকার যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। এমনকী ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদেরও টিকিট পরীক্ষা করছিলেন এই চারজন। সেই সময় বালিগঞ্জ স্টেশনের স্থায়ী টিটিদের সন্দেহ হয়। এরপরই আরপিএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিঝ়্সাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, তাঁদের নাম, সুরেশ দীপক, প্রশান্ত ভি, কার্থিকেয়ান ই এবং ভূপিন্দর শর্মা।প্রথম তিনজন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। চতুর্থ জন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা।
শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে ভুয়ো আইডি কার্ড, ভুয়ো চালান বই ,মেটাল ব্যাচও উদ্ধার হয়। এরপর ধৃতদের বালিগঞ্জ জিআরপি শিয়ালদহ আদালতে তুললে তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তিনজন একটি ভুয়ো চাকরি চক্রে মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগ পেয়েছিল। আর এবার এই ভুয়ো নিয়োগ চক্রের মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছে তদন্তকারীরা। এর সঙ্গে রেলের কোনও কর্মচারী যুক্ত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
এর আগেও রেলে ভুয়ো চাকরির ঘটনায় বহুবার এই প্রতারণা চক্রের পাণ্ডারা গ্রেপ্তারও হয়েছে। এরপরও কমছে না এই প্রতারণার ঘটনা। তবে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত চক্র কাজ করছে, তাদের ধরার জন্য রেল তৎপর। রেলের তরফ থেকে চাকরির জন্য প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য নানাভাবে বিজ্ঞাপন এবং প্রচার চালানো হয়। ট্রেনের মধ্যেও মাইকে শোনানো হয় বার্তা। তবু এই ধরনের ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন রেল দপ্তর।