কলকাতা: কলকাতায় বসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বাসিন্দাদের প্রতারণার ফাঁদ। কথার জালে, কৌশলে ভুলিয়ে কল সেন্টারের আড়ালে জালিয়াতি! নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পর্দা ফাঁস হল ভুয়ো কল সেন্টারের।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে ভুয়ো কলসেন্টার চালানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, বাড়িতে ছয় যুবক ল্যাপটপ, মোবাইল নিয়ে কলসেন্টার চালাচ্ছে। অভিযোগ কল সেন্টারের আড়ালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা হাতাতো তারা। জালিয়াতির মূল পান্ডা মোসাবির ঘানি (২৮)-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৭টি ল্যাপটপ ও ১৫টি মোবাইল ফোন। সিল করে দেওয়া হয় কল সেন্টারটি। ইতিমধ্যে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ডাটা লিস্ট তৈরি করে, সেই লিস্ট ধরে ‘ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল’ (Voice Over IP) ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করত অভিযুক্তরা। বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ভাবে টাকা লেনদেন হত। পরবর্তী সময়ে সেই বিদেশি মুদ্রা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেওয়া হত।
গত মে মাসেও কলকাতায় তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস করেছিল সিআইডি। সেবার কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেন সিআইডি আধিকারিকরা।মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট এলাকা, বউবাজার এলাকা ও শেক্সপিয়র থানা এলাকার পার্ক স্ট্রিটের তিনটি অফিসে চলে সিআইডির তল্লাশি। মোট ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া উদ্ধার হয় একটি বিলাসবহুল গাড়িও। অফিসগুলি থেকে প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র, নোটবুক, রেজিস্টার খাতা, ডায়েরি, ভাড়া ও লিজের চুক্তিপত্র, বেশ কিছু মোবাইল, সিম কার্ড, ল্যাপটপ উদ্ধার হয়।