কলকাতায় পুড়ে ছাই কারখানা, ক্ষতিগ্রস্ত সংলগ্ন বাড়ির একাংশও

কলকাতা : রবিবার সকালে খাস কলকাতায় রঙেরর কারখানায় অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেল মানিকতলার মুরারিপুকুর এলাকা। খবর পেয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যআয় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় রঙের কারখানা। পাশের বাড়ির তিন তলা পর্যন্ত এক পাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলে যান সিএসসি-র কর্মীরা। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় বেআইনিভাবে কারখানাটি চলছিল বলে অভিযোগ। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মানিকতলা ১৬ নম্বর মুরারিপুকুর রোডে রয়েছে ওই কারখানাটি। রবিবার সকালে আচমকাই ধোঁয়া দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। মুহূর্তে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা বুঝতে পারেন ভেতের আগুন লেগে গিয়েছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। পাশাপাশি স্থানীয়রাই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে আগুন আয়ত্তে আনার। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ দমকলের তিনটি ইঞ্জিন যায় ঘটনাস্থলে। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজ শুরু করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।

কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘনজনবসতি পূর্ণ এলাকায় কারখানাটি, যাতে আগুন আসে পাশে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখেন দমকলকর্মীরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে দাহ্য পদার্থ থাকায় অতিদ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই সেই কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।   স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ১২-১৩ বছর ধরে এই রঙের কারখানা চলছে। অভিযোগ, ওই কারখানায় কোনও রকমের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। সেই অভিযোগের মান্যতা দিয়েছে দমকলও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =