জমি সংক্রান্ত বিবাদের সালিশি সভা বসে পুলিশ ক্যাম্পে। আর এই সালিশি সভাতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড খানাকুলের বালিপুরে। জানা গিয়েছে, জমির দখলদারীকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের বালিপুর পুলিশ ক্যাম্প এলাকায়। ঘটনার জেরে আহত ক্যাম্পের এক পুলিশ কর্মী। আহত পুলিশ কর্মীর নাম ধনঞ্জয় মাহাতো। তাকে চিকিৎসার জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। অপরদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ক্যাম্পে সালিশি করার নাম করে এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ক্যাম্প সংলগ্ন বালিপুর পঞ্চায়েতে আসা মানুষদেরও বাদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় একটি জমির দখলদারী নিয়ে এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে সালিশিতে বসে ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ, এই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পালটা রুখে দাঁড়ায় স্থানীয়দের একাংশ। এই স্থানীয় এক গৃহবধূ তমনুর বেগম জানান, ™ুলিশকে মারধর করা হয়নি। উনি নার্ভাস হয়ে গেছেন। আমাদের জমি জোর করে নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। তাই বালিপুর পুলিশ ক্যাম্পে ডাকা হয়। অপরদিকে, রেনিশা বেগম জানান, পুলিশকে মারা হয়নি। মেয়েরা কি পুলিশকে মারতে পারে। পুলিশ নাটক করছে। আধার কার্ড নিয়ে পঞ্চায়েতে এসেছিলাম। তারপরই পুলিশ আমাদের একজনকে নিয়ে যাচ্ছিল। তাকে ছাড়াতে গিয়েছিলাম। তবে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়েই ফাঁড়ির ইনচার্জ আক্রান্ত হন। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খানাকুল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় তারা। আহত পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খানাকুলের বালিপুরের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ কর্মীর শারীরিক সমস্যা হয়ে হয়েছিল। তবে কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত হয়নি। সবমিলিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সঠিক সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ।