এ কারণেই টেস্ট ক্রিকেট। প্রতি ডেলিভারিতেই ম্যাচের রূপ বদলে যেতে পারে। কখনও এক দলকে অ্য়াডভান্টেজ মনে হবে, পরক্ষণেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। রাঁচি টেস্টের তৃতীয় দিন এমনটাই হল। এখনও অবধি কোনও দলকেই চালকের আসনে বলা যায় না। তবে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত। এর নেপথ্যে প্রথম ইনিংসে ভারতের লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তেমনই অশ্বিন-জাডেজা-কুলদীপ স্পিন ত্রয়ীর।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন পুরোপুরি ব্য়াকফুটে ছিল ভারত। ইংল্য়ান্ডের ৩৫৩ রানের জবাবে ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারতীয় দল। যদিও ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন কুলদীপ যাদব। এই জুটি তৃতীয় দিনও ভরসা দেয়। কুলদীপ যাদব ১৩১ বলে ২৮ রান করেন। রানের চেয়েও জরুরি ছিল সঙ্গ দেওয়া। সেটাই করেছিলেন। এরপর আকাশ দীপও দারুণ জুটি গড়েন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয় ধ্রুব জুরেলের। ব্যক্তিগত ৯০ রানে শেষ উইকেট হিসেবে আউট ধ্রুব। তবে ইংল্যান্ডকে ৪৬ রানের বেশি লিড নিতে দেয়নি ভারতীয় দল। এটাই প্রাথমিক ভরসা দেয় ভারতীয় দলকে।
পিচ থেকে কখনও টার্ন হচ্ছে, কখনও কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না স্পিনাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই দু-দিক থেকে স্পিন আক্রমণ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে শুরু করেন অশ্বিন। দু ইনিংসেই শূন্য ওলি পোপ। জ্যাক ক্রলি এক দিক আগলে ভারতকে চাপে রাখছিলেন। তবে চা বিরতির পর পরিস্থিতি বদলায়। দ্রুত আরও ৪ উইকেট নেয় ভারত।
দলীয় ১৩৩ রানেই ৮ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যে কুলদীপ একাই চার উইকেট। জাডেজা-অশ্বিনদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনবদ্য বোলিং কুলদীপের। তেমনই ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত একটি ফরোয়ার্ড ডাইভিং ক্যাচ নেন সরফরাজ খান। ভারতকে কিছুটা চাপে রাখে ইংল্যান্ডের নবম উইকেট জুটি। রান বেশি না করলেও ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন। অবশেষে অশ্বিন কট অ্যান্ড বোলে ফেরান বেন ফোকসকে। অশ্বিনের চার উইকেট সম্পূর্ণ। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের লিড ছিল ১৯১।
ক্রিজে আসেন জেমস অ্যান্ডারসন। উল্টোদিকে শোয়েব বশির। দু-বলের ব্যবধানেই জিমিকে ফেরান অশ্বিন। কেরিয়ারে ৩৫ তম বার ৫ উইকেট অশ্বিনের। ১৪৫ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। ভারতের চাই ১৯২ রান। তৃতীয় দিন ৮ ওভার ব্যাটিং করতে হয় ভারতকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘বাজবল’ যশস্বী রোহিতের। ৮ ওভারে ৪০ রান তুলে নিয়েছে এই জুটি। ম্যাচের এখনও দু-দিন বাকি। ভারতের চাই আরও ১৫২ রান।