দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচও শেষ। আর এক রাউন্ড বাকি। চার দলের মধ্যে শীর্ষে থাকা দু-দল ফাইনাল খেলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ভারত সি বনাম বি ম্যাচটি অমাংসীতই রইল। তবে এই ম্যাচেও প্রাপ্তি অনেক। বিশেষ করে বলতে হয় পেসারদের পারফরম্যান্স। ভারতের বর্তমান বোলিং আক্রমণই শুধু নয়, পরবর্তী প্রজন্মও যে তৈরি হচ্ছে, বলাই যায়। বিশেষ করে এই ম্যাচে। ব্যাটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাঝে নজর কেড়েছেন বোলাররা। আলাদা করে বলতে অংশুল কম্বোজের কথা। ম্যাচে ৮ উইকেট তাঁর ঝুলিতে।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বাধীন ভারত সি দল প্রথম ইনিংসে ৫২৫ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনেই দুরন্ত সেঞ্চুরি ঈশান কিষাণের। ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন বাঁ হাতি স্পিনার মানব সুতারও। প্রথম ইনিংসে ভারত বি দলের পেসার মুকেশ কুমার ও লেগ স্পিনার রাহুল চাহার ৪টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ভারত বি দল করে ৩৩২ রান। এর মধ্যে একাই অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ভারত বি-দলের অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। আর এক ওপেনার নারায়ণ জগদীশন ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা অভিমন্যুর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে পারলে এই ম্যাচ থেকে হয়তো তিন পয়েন্টও নিতে পারত ভারত বি দল। সবচেয়ে হতাশা রিঙ্কু সিংকে নিয়ে। সদ্য ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে দুর্দান্ত খেলেছেন। জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাকি দুই ফরম্যাটে জায়গা করে নিতে হলে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটেও ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। যদিও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।
ভারত সি-দল দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৮-৪ স্কোরে ডিক্লেয়ার করে। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে তাদের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত ছিল। এই ম্যাচে অবশ্য সরাসরি জয়ের জন্য ইন্ডিয়া বি বোলারদের আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হত। সেটা হয়নি। প্রথম ইনিংসের স্কোরটাই পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায়। ভারত বি দলের প্রাপ্তি ১ পয়েন্ট। একটি করে জয় ও ড্রয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে রয়েছে ভারত সি দল। তাদের ঝুলিতে ৯ পয়েন্ট। ভারত বি-দলও একটি করে জয় ও ড্র। যদিও ড্র ম্যাচে তাদের ঝুলিতে ১ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ভারত এ দল একটি জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। পরিস্থিতি সঙ্গীন শ্রেয়সের নেতৃত্বাধীন ডি-দলের। ২টিতেই হার। ফাইনালের সম্ভাবনা শেষ তাদের।