আলিপুরদুয়ারের ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে মার্চ পাস্টের গুরু দায়িত্বে কেএলও  লিংকম্যানেরা

আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের মার্চ পাস্টের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে এবার  কেএলও লিংকম্যানরা। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে পাওযা খবর অনুসারে, এবছর প্রথম আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে ব্যান্ডের দায়িত্ব সামলাতে চলেছেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি সংগঠনের লিঙ্কম্যানরা। একসময়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অংশ মানুষদের আত্মসমর্পণের পর মূলস্রোতে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এরপরই  ২০০৮ সালের অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটের পর মূল স্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেন কেএলও-র এক বিরাট অংশের সদস্যরা। এরপরে বেশকিছু কেএলও সদস্যদের রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোমগার্ডের দায়িত্বও দেওয়া হয়। তখন থেকেই তারা রাজ্য তথা দেশের স্বার্থে একাধিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। একসময় কেএলও-র সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁরা এই মুহূর্তে রাজ্য পুলিশের কর্মী। আর ২০২৩-এর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে তারাই সামলাবেন পুলিশের ব্যান্ড। যে ব্যান্ডের নির্দেশে পরিচালিত হতে চলেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের আয়োজিত ৭৪ তম বর্ষ প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠান। আর এমন পরিকল্পনাতেই শিলিগুড়িতে আর এ এফ ব্যাটেলিয়নে কয়েক মাস ব্যান্ডের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আরও চার মাস বাড়তি অনুশীলন চলেও তাঁদের।

এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন , আগে মহিলা পুলিশ কর্মীদের একটি দল ব্যান্ডের দায়িত্ব সামলাতো। একাধিক কর্মসূচি থাকায় তাদের দিয়ে সমস্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানোর সমস্যা হতো। তাই এবার হোম গার্ডদের নিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি পুরুষদের পুলিশ ব্যান্ডের দল তৈরি করা হয়েছে। সেই দলের মধ্যে অধিকাংশ সংখ্যক কেএলও-র লিঙ্কম্যানরা রয়েছেন। তারাই এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্যান্ডের দায়িত্ব সামলাবেন। সেই দলে বিভিন্ন জায়গার হোম গার্ডের কর্মী রয়েছেন। ১২ জন হোমগার্ড কর্মীদের নিয়ে সেই ব্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য ছয় মাস ধরে তাদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা অনুশীলন নিয়ে তারা নিজেদের দক্ষতাও প্রমাণ করে। এখন তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা ২৬ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডের ময়দানে। এর আগে মহিলা পুলিশের বিশেষ দল আলিপুরদুয়ার জেলায় পুলিশের ব্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। অনেক সময় মহিলা কনস্টেবল সহ পুলিশ কর্মীদের অন্যান্য জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকার দরুণ তাদের পক্ষে ব্যান্ডেরএই দায়িত্ব সামাল দেওযা কষ্টকর ছিল। তবে এই দ্বিতীয় ব্যান্ডের দল তৈরি হওয়ায় অনেক সুবিধা মিলবে বলেই পুলিশের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 11 =