কলকাতা: বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে যখন সিবিআই আধিকারিকরা বের হচ্ছেন, ঘড়ির কাঁটা বলছে তখন রাত প্রায় একটা। আট ঘণ্টা জেরা শেষে কী পেলেন তদন্তকারীরা? প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই সিবিআই কর্তারা মুখে কুলুপ আঁটলেও সূত্রের খবর, বেশ কিছু জিনিস, গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। বুধবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেদিন ফ্ল্যাটে কাউকে না পেলে তা সিল করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে সস্ত্রীক কলকাতায় আসেন সুবীরেশ। বাড়ি সিল থাকায়, বালিগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিকালে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। সিল খুলে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা।
সুবীরেশ ভট্টাচার্য বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের কমিটির রিপোর্টে সুবীরেশের নাম রয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ৩৮১ টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুবীরেশকে। যদিও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিমানে কলকাতায় এসে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।
জানা গিয়েছে, গভীর রাত পর্যন্ত সুবীরেশকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। প্রশ্ন করা হয়, আপনি বলছেন সব আইন মেনে হয়েছে, বাগ কমিটির রিপোর্টে অন্য কথা রয়েছে। কী করে সম্ভব? অটো জেনারেটেড সই দিয়ে চাকরি হল কীভাবে?
নিয়োগ দুর্নীতি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই খারিজ করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই তিনি দাবি করেন, তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।