তিনি জানতেন যে নিয়ম মেনে সঠিক সময় নির্বাচন না করলে নির্বাসন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই ১৬ অগস্ট ফিফা দ্বারা সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসিত করার কয়েক মাস আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন প্রফুল প্যাটেল। ফিফা-র সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে লেখা চিঠিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে, এআইএফএফ থেকে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন ফেডারশনের ক্ষমতাচ্যুত সভাপতি। যদিও ক্ষমা চেয়ে তাঁর সেই আবেদনেও কান দেয়নি ফিফা। তাই এই মুহূর্তে প্রবল অন্ধকারে ভারতীয় ফুটবল। নির্বাসন তুলতে দেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ২৩ মে সেই চিঠিতে জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে উল্লেখ করে প্রফুল লিখেছিলেন, ‘বন্ধু ইনফান্তিনো ফিফা কাউন্সিলের এক সদস্য হিসেবে আপনার কাছে আমার বিশেষ আবেদন। ফিফা-র নির্দেশ মেনেই এই মুহূর্ত ভারতীয় ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফ-এর নতুন কর্ম সমিতি গড়ে তোলার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে আমাদের ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসন করা থেকে বিরত থাকলে ব্যাধিত থাকব।’
সোমবার প্রফুলের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য রাখেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিন বার ফেডারেশনের সভাপতি থাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই তিনি আর সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। প্রফুল ফেডারেশনের অন্য কোনও পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নেবেন না। সেটাও জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
ফিফা যেন ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেয়।শুনানি চলার সময় বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে উদ্দেশ্য করে কপিল সিব্বল আরও বলেন, ‘প্রফুল প্যাটেলের জন্যই কিন্তু ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ভারতের আয়োজিত হয়েছিল। চলতি বছর অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার কথা।’ সিব্বলের বক্তব্য শেষ হতেই বিচারপতি পালটা বলে ওঠেন, ‘প্রফুল প্যাটেলের জন্যই কিন্তু ভারতীয় ফুটবল নির্বাসিত হয়েছে। সেটাও মনে রাখা উচিত।’
ভারতীয় ফুটবলকে ফিফা নির্বাসিত করার পরেও নাম উঠে এসেছিল প্রফুলের। ফুটবল মহলের একটি অংশের মত, প্রফুলের গা জোয়ারি মানসিকতার জন্যই এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করল ফিফা। যদিও নির্বাসিত করা হলেও, ফের স্বমহিমায় আসার রাস্তাও বাতলে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সেইমতো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নেওয়া হয়েছে।