দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযানে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশের পরও অব্যাহত ছিল উচ্ছেদ অভিযান। উত্তর দিল্লি পুরনিগমের তরফে পাঠানো বুলডোজারগুলি অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধ করেনি। পুরনিগমের দাবি ছিল, স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা এখনও পর্ষন্ত তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তবে দুপুর ১টা নাগাদ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে পুরনিগম। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পেলোডার দিয়ে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে ‘বেআইনি নির্মাণ’ ভাঙা শুরু করেছিল উত্তর দিল্লি পুরসভা (NDMC)। পুরসভার ওই সিদ্ধান্তে আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। তাই আদালতের সেই স্থগিতাদেশের কপি হাতে নিয়ে পেলোডার আটকে দাঁড়ালেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। অবশেষে থামল উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে আবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিজেপি প্রধান আদেশ গুপ্ত পুরনগিমের মেয়রকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, জাহাঙ্গিরপুরী সংঘর্ষে যে অভিযুক্তরা মদত জুগিয়েছেন, তাঁদের মদতেই এলাকায় একের পর এক বেআইনি নির্মাণ এবং দখলদারি হয়েছে। সুতরাং অবিলম্বে এই নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হোক এবং বেআইনি দখলদারিদের উচ্ছেদ করা হোক। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে যে, যাঁরা ঘটনার দিন পাথর ছুড়েছিলেন তাঁরা আম আদমি পার্টির বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ। ওই অভিযুক্তদের বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হোক।
ইতিমধ্যেই হিংসার ঘটনায় তিন নাবালক-সহ ২৪কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত শনিবার হনুমান জয়ন্তীর দিন দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনা ঘটে। তাতে কয়েক জন সাধারণ মানুষ ছাড়াও একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হন। ঘটনাক্রমে দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা হুঁশিয়ারি দেন, জাহাঙ্গিরপুরী মসজিদের পাশাপাশি থাকা সব ‘বেআইনি নির্মাণ’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। একই ঘোষণা আসে এনডিএমসি-র তরফেও। এর পর মঙ্গলবার সকালে ১০টা নাগাদ উত্তর দিল্লি পুরসভা থেকে ন’টি বুলডোজার পাঠানো হয় ওই জায়গায়। প্রায় ৪০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।