ছুটির দিনেও তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করল আরামবাগ প্রশাসন

আরামবাগ: রথের দিন। সরকারিভাবে ছুটি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি ভবনগুলোতে ছুটির হাওয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে রোগীর পরিবারে লোকজন ও একজন জনপ্রতিনিধি। তাই শত কাজ ফেলে রেখে এবং ছুটির দিনেও খবর পেয়েই চলেন একেবারে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরকারি নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেওয়া হল রোগীর পরিবারে হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগে। এদিন আরামবাগের গৌরহাটি এক নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা ঘোষের পা ভেঙে যায়। তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তড়িঘড়ি অপারেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই খবর পান আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার মানবিক কাজে ব্রতী হন। তড়িঘড়ি আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে এসে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ওই অসহায় পরিবারের হাতে স্থাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন। শুরু হয় চিকিৎসা। এই বিষয় কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি বলেন, ছুটির দিন হলেও মানুষের কাজ করার কথা বলেছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। এই কার্ডের মাধ্যমে যাতে চিকিৎসা পায় তার ব্যবস্থা করে দেওয় হয়। অপরদিকে শুক্লা ঘোষ জানান, ছুটির দিনে এই ভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারবো ভাবিনি। কিন্তু দীপকবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মী বাড়ি থেকে এসে কার্ড করে দেন। এই জন্য অসংখ্য ধন্যবান সবাইকে। সবমিলিয়ে ছুটির দিনে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে মায়ের চিকিৎসা করতে খুশি ঘোষ পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =