সম্প্রতি বায়োমেট্রিক ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে গিয়ে যাদবপুরের এক শিক্ষাকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ১০ হাজার টাকা। এরপরই কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে এই বায়োমেট্রিক লক নিয়ে দেওয়া হয় সচেতনতার বার্তা। তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে বায়োমেট্রিক লক করে রেশন তুলতে পারা যাবে কি না তা নিয়েও।
এই প্রসঙ্গে খাদ্য দফতরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, বায়োমেট্রিক লক থাকুক বা না থাকুক রেশন তুলতে কোনও অসুবিধা হবে না। যেহেতু উপভোক্তা এবং তাঁর পরিবারের সকলের আঙুলের ছাপ আগে থেকেই রেজিস্ট্রার হয়ে রয়েছে সেই কারণে রেশন তোলার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।
এদিকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রতাকরকদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা কী করে আটকানো সম্ভব সে ব্যাপারে কোনও আশার কোনও আলো দেখাতে পারেননি খাদ্য দফতরের ফুড ইন্সপেক্টর থেকে থেকে শুরু করে প্রধান করনিক কেউই। তাঁদের বক্তব্য, কোনও ডিলার যদি প্রতারণা চক্রের কাছে তথ্য দেন, সেটা জানা উক্ত দফতরের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলত, এ ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এদিকে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি রুখতে এই বায়োমেট্রিক চালু হয়েছিল। আগে একাংশ ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত মজুত থাকা রেশন বেচে দেওয়ার। কিন্তু বায়োমেট্রিক লক হওয়ায় ডিলারদের সেই সুবিধা থাকছে না। যা পণ্য বেচে যাচ্ছে তার খবর চলে যাচ্ছে খাদ্য দফতরের কাছে। ফলে সেই পরিমাণ পণ্য তারা পাঠাচ্ছে রেশন ডিলারকে। তবে, অনেক সময় উপযুক্ত ইন্টানেটের অভাবে আঙুলের ছাপ নেয় না। তখন ওটিপি-র মাধ্যমে রেশন তুলতে হয়।