অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিলল কলকাতায়। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের দিকে হয় হালকা এই ঝড়-বৃষ্টি। তাতে আদৌ স্বস্তি মেলেনি তিলোত্তমাবাসীর। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রার খুব বড়সড় পরিবর্তন হবে না। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, যেহেতু বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে সেই কারণে গরম থেকে মিলবে না মুক্তি।আলিপুর আবহাওযা অফিস সূত্রে খবর, বুধবার বর্ষা আসার কথা ছিল উত্তরবঙ্গে। এরপর ১০ জুন দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা। কিন্তু ক্রমেই পিছোচ্ছে বর্ষার আগমন।
পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে এও জানানো হয়, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আগামী পাঁচ দিন দাবদাহ চলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহবিদেরা। এই প্রসঙ্গে
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা জিকে দাস জানান, জুনের শুরুতেই তাপপ্রবাহ রীতিমত চাপে ফেলছে সাধারণ মানুষকে৷গরম হাওয়া চাঁদিফাটা উত্তাপ, জেলায় জেলায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিমের দিক থেকে লু বয়ে যাওয়ার ফলে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে যাবে। আর এরফলেই বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি৷ছবিটা একই উত্তরবঙ্গেও৷তাপমাত্রা বাড়বে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও।ফলে যতক্ষণ না বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে ততক্ষণ অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে ভ্যাপসা গরমের জেরে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। ছাতা, রোদ চশমা থেকেও কোনও লাভ হচ্ছে না। বাইরে বেরলেই রীতিমতো রোদের তেজে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। একটাই প্রশ্ন এই গরম কবে বিদায় নেবে। কিন্তু বাংলার কপাল এবার সত্যিই মন্দ। কারণ, প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিরও তেমন আশা নেই। এ দিকে, আরব সাগরে আবার সোমবার একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল।মঙ্গলে সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা। নাম ‘বিপর্যয়’। আর এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।তবে সমস্যা একটাই। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা। এবার এখনও পর্যন্ত কেরলেই পৌঁছয়নি। সেই পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও অন্তত ১ থেকে ২ দিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।