ঘরে ফিরেও জয়ে ফেরা হল না ইস্টবেঙ্গলের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ঘরের মাঠেই শেষ জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গত দু-ম্যাচই ছিল অ্যাওয়ে। কলকাতা ডার্বি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হলেও সেটি মোহনবাগানের হোম ম্যাচ ছিল। দীর্ঘ সময় পর ঘরের মাঠে ফিরলেও জয়ে ফেরা হল না ইস্টবেঙ্গলের। কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নদের টানা দ্বিতীয় হার। গত ম্যাচে গুয়াহাটিতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ০-১ ব্যবধানে হার।

কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে ছিলেন না অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। তবে মাঝ মাঠে সৌভিক চক্রবর্তী ফেরায় স্বস্তি ছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। গত ম্যাচের দলে একাধিক পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। শুরু থেকেই মুম্বই সিটি এফসি তাদের পরিচিত ‘মারামারি’ খেলা শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভাগ গত ম্যাচে হারের ফলে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিল। রক্ষণেও বদল আনেন। একটা ভুল এবং ‘পরিচিত’ রেফারিং। একঝাঁক সুযোগ নষ্ট। শেষ দিকে মরিয়া লড়াইয়েও স্কোর লাইন বদল হল না।

ম্যাচের ২৪ মিনিটে ইকে গুয়ের্তেজানার গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও এই গোল নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। বল রিলিজ হওয়ার সময় ইকে অফসাইডে ছিলেন, এমনটাও মনে করা হচ্ছে। রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও দায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভাগেরও। শট নেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ সময় পেয়েছেন ইকে। তাঁকে শট নিতে অ্যালাউ করেছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণই। প্রথমে গোল খাওয়াটাই যেন ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা দেয়।

ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলাররা ভালো খেললেন। দুই নতুন বিদেশি ফেলিসিও ব্রাউন, ভিক্টর ভাসকেজ সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্য়র্থ। তার উপর মুম্বই সিটি এফসির ফিজিক্যাল ফুটবল। সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল যেন অস্বস্তিতে ছিল। শুরুর একাদশে কেন এত পরিবর্তন? কার্লেস জানালেন, সকলকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে চান। হারলেও খুব বেশি হতাশ নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর পরিষ্কার পরিকল্পনা, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগতে চান, এর জন্য দলের বাকিদেরও সুযোগ দেওয়া জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 1 =