নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলা পরিষদে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না বলে দাবি। দীর্ঘ চাপানউতোরের পর স্থায়ী সমিতি গঠন হলেও, এখনও ঝুলে রইল কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন। বিরোধীদের দাবি, লুঠপাঠের জন্য তৃণমূলের অন্দরের আকচাআকচিতে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। ৫৬টি আসনের মধ্যে ৫৫টি আসনে জয় পায় তৃণমূল। এরপর থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির আসনে কে বসবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয় নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত অনুসূয়া রায়কে সভাধিপতি ও পরিতোষ কিস্কুকে সহ-সভাধিপতি পদে বসানো হলেও, জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য প্রশাসনের তরফে গত ২৫ অগস্ট দিন নির্ধারিত হলেও, ওইদিন স্থায়ী সমিতি গঠন করতে পারেনি তৃণমূল।
দীর্ঘ টালবাহানার পর শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদে ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠিত হলেও, এখনও ঝুলে রইল ওই স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন। বিরোধী বিজেপির দাবি, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পদ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রবল দ্বন্দ্ব চলছে। আর সেই দ্ব¨েµর জেরেই কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে এত দেরি হচ্ছে। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে বিলম্ব হওয়ায় উন্নয়নের কাজ যেমন থমকে রয়েছে, তেমনই পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্ব¨েµর কথা মানতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ কোনও সদস্যাই। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের তরফে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী আপাতত স্থায়ী সমিতি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত দলের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হবে।