রিটায়ারমেন্ট হয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়া হবে না: শুভেন্দু অধিকারী

কলকাতা: রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে বিল আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই  এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এবার সেই বিল পেশ হতে চলেছে বিধানসভায়। বিল পেশ হওয়ার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি বিধায়কেরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন। সাসপেন্ড হওয়ায় নিজে বিধানসভায় থাকতে পারেছন না তিনি। তবে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ওই বিলের বিরোধিতা করা হবে। রাজ্যপাল ওই বিল পাঠাবেন দিল্লিতে।এ দিন শুভেন্দু দাবি করেন, বিল নিয়ে এক ইঞ্চিও আপোষ করা হবে না। তাঁর দাবি, রাজ্যের নাম ‘বঙ্গ’ করার প্রস্তাব বা বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব যে ভাবে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে, পাশ হচ্ছে না, আচার্য বিলেরও সেই একই অবস্থা হবে। তিনি জানান, বিল যাতে দিল্লিতে পাঠানো হয়, সে ব্যাপারে রাজ্যপালকে অনুরোধ করবেন তিনি। ওই বিল প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর রিটায়ারমেন্ট হয়ে যাবে, তবু তিনি আচার্য হতে পারবে না।’

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মনে করিয়ে দেন, সাত জনকে সাসপেন্ড করা হলেও বাকি ৬৩ জন ভিতরে রয়েছেন।কিন্তু, গুজরাতের ক্ষেত্রে একই বিলে কেন সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু জানান, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপাল মেনে নিয়েছিলেন। অন্য দিকে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক বিধান পরিষদ তৈরির দাবি জানালেও তাতে কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি এ কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, ‘এটা কী ধরনের গণতন্ত্র! দেশের কোনও বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রেখে অধিবেশন চলে না।’ আগেই মমতাকে আচার্য পদে আনার বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বিজেপি বিধায়করা কোনও ভাবেই আচার্য হতে দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্ত আগেই গৃহীত হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 7 =