স্ত্রীকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বামী

দেড় বছর আগে স্ত্রীকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল স্বামীকে। পরে অভিযুক্ত নিজেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। ঘটনার তদন্তে নেমে অবশেষে ১৮ মাস পরে হল রহস্যের  কিনারা। আর এই রহস্যের কিনারা হতেই খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কেরল পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ফোন কল নিয়ে অভিযুক্ত সজীবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রম্যার তর্ক বাধে। বচসা চরম আকার নিলে, সেই সময় সজীব স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করে। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার ভয়ে এর্নাকুলামের ইদাভানাক্কাদে গ্রামের বাড়ির উঠোনে স্ত্রীর দেহ পুঁতে দেয়। কেউ যাতে সন্দেহ না করতে পারে, তার জন্য ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে নজারক্কল থানায় রম্যার নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে অভিযুক্ত। রম্যা পরপুরুষের সাথে চলে গেছে বলে আত্মীয় ও এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতিও শুরু করে সজীব।

এদিকে, নিখোঁজ ডায়েরির পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর সেক্ষেত্রে সজীবের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। প্রায় এক বছরের বেশি সময় সজীবের উপর নজরদারি চালিয়ে স্ত্রীকে খুনের উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপরেই খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নজারক্কল থানার পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, সজীবের বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২-এ অক্টোবর মাসে কেরলে নরবলি কাণ্ডে তোলপাড় হয় সারা দেশ। এই এ্রর্নাকুলাম জেলাতেই দুই তরুণী নিখোঁজ হন। এই নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। জানা যায়, দুই মহিলাই নরবলির শিকার হন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে, রাতারাতি বড়লোক হতে নাকি এই দু’জনকে বলি দিয়েছে এক দম্পতি। সেই দেহের মাংসও খায় তারা। এবার স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির উঠানে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে তৈরি হয় চাঞ্চল্য।

এদিকে আবার দিল্লি শ্রদ্ধা ওয়ালকরের  ঘটনায় ইতিমধ্যে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। গত বছর মে মাসে লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনেওয়ালাকে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লি বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। গত নভেম্বর মাসে প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − six =